উত্তরণ প্রতিবেদক: মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের ১৮৯টি উপজেলায় ৪ লাখ ৩১ হাজার নারীকে ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) উপকারভোগীর মধ্যে পুষ্টি চাল বিতরণ করছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পর্যায়ক্রমে সকল নারী (১০ লাখ ৪০ হাজার) ভিজিডি উপকারভোগীদের পুষ্টি চাল প্রদান করা হবে। পরিবার প্রতি পাঁচজন করে মোট ২৫ লাখ মানুষ পুষ্টি চালের সুবিধায় এসেছে। প্রতিটি পরিবার মাসে ৩০ কেজির বেশি পুষ্টি চাল পাচ্ছেন।
গত ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির যৌথ আয়োজনে দুদিনব্যাপী পুষ্টি চাল বিতরণ বিষয়ে বার্ষিক পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা কর্মশালায় প্রথম দিনের সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ-সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ-কথা বলেছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
বার্ষিক পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা কর্মশালায় তিনি বলেছেন, সাধারণ চালের সঙ্গে ভিটামিন-এ, বি১, বি১২, বি৯, আয়রন ও জিঙ্ক উপাদান সমৃদ্ধ করে দানাদার চাল বা কার্নেল উৎপাদন করা হয়। পরে সাধারণ চালের সঙ্গে ১০০:১ অনুপাতে ১০০ কেজি সাধারণ চালের সঙ্গে ১ কেজি কার্নেল মিশিয়ে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল প্রস্তুত করা হয়। সাধারণ চালের তুলনায় পুষ্টি চালে বেশি মাত্রায় থায়ামিন, নিয়াসিন, জিঙ্ক, আয়রন, ফাইবার ও প্রোটিন থাকায় মানুষ ডায়াবেটিস, ক্যানসার, কিডনি ও দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে পুষ্টি চালের মান নিয়ন্ত্রণ ও বিতরণে কাজ করছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, পুষ্টি চালের চাহিদা মেটানোর জন্য ৭টি কার্নেল কারখানা ও ১১০টি মিক্সিং মিল স্থাপন করা হয়েছে। এ-সময় তিনি পুষ্টি চাল বিতরণ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ করতে টেকনিক্যাল সহযোগিতা করার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং নিউট্রেশন ইন্টারন্যাশনালকে ধন্যবাদ জানান। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাজা আবদুল হান্নান ও ডাব্লিউএফপি কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ আলফা বাহ।
এ সময় ডাব্লিউএফপি-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ আলফা বাহ বলেছেন, বাংলাদেশের স্থানীয় পর্যায়ে পুষ্টি চাল উৎপাদন পূর্ণসক্ষমতা রয়েছে। ডাব্লিউএফপি এ বিষয়ে ভবিষ্যতে সব ধরনের টেকনিক্যাল সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। কর্মশালায় ডাব্লিউএফপির সিনিয়র অ্যাডভাইজর আতাউর রহমান ও নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের খায়রুল আলমসহ মন্ত্রণালয়, দপ্তর-সংস্থা এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।