উত্তরণ প্রতিবেদন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে গত ২১ নভেম্বর সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ায় কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আসুন সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। তিনি বলেন, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। নিজেরা নিজের দেশকে গড়ে তুলতে চাই। কাজেই সবাই যার যার অবস্থান থেকে আন্তরিকতার সঙ্গে নিজেদের দেশকে গড়ে তুলতে কাজ করবেন সেটাই আমি চাই। সশস্ত্র বাহিনী সর্বাবস্থায় সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, সব সময়, সর্বাবস্থায় চেইন অব কমান্ড মেনে ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দেশ গঠনে তার ভূমিকা রেখে যাবে। তিনি বলেন, আমি আশা করি, গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে অবদান রাখবে। সন্ত্রাস-মাদক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যদি শান্তি-নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে তাহলে অগ্রগতি অবশ্যম্ভাবী, অগ্রগতি হতেই হবে। তাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে-অভিযান চলছে সে-অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, দেশকে আধুনিকায়নের সঙ্গে সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আমরা বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের বাজেট আমরা বাড়িয়েছি। সবার বেতন-ভাতা বাড়িয়েছি। অন্য অনেক সুযোগ-সুবিধাও বেড়েছে। আমাদের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। এর আগে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রসারিত ও পুনর্নির্মিত সেনাকুঞ্জ উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। ঢাকা সেনানিবাসের ‘শিখা অনির্বাণে’ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে এই শ্রদ্ধা জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে এসে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আবু মোজাফ্ফর মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান, যেখানে তিন বাহিনী প্রধানগণ তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।