দেশে-বিদেশে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনের এ শুভক্ষণে দেশবাসীসহ বিদেশে বসবাসরত সকল প্রবাসীকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি।
উত্তরণ প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে রাজনৈতিক দলসমূহকে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তোলার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে প্রয়োজন ধর্মবর্ণগোত্র নির্বিশেষে সকলের মধ্যে ঐক্য। ঐক্য গড়ে তুলতে হবে সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিকতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে। তাই, আসুন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা দলমতপথের পার্থক্য ভুলে, ধর্মবর্ণগোত্র নির্বিশেষে জাতির গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার মধ্য দিয়ে লাখো শহিদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গত ২৪ নভেম্বর বিকাল ৩টায় শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ আলোচনার স্মারক বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতির স্মারক বক্তৃতায় বাংলাদেশের নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলার গল্পও উঠে এসেছে। রাষ্ট্রপতি তার বক্তৃতায় সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে সুশীল সমাজকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রয়োজন চতুর্থ বিপ্লবকে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখা। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা, ব্যাপক শিল্পায়ন, অর্থনীতি সুসংহতকরণ, সুষ্ঠু অবকাঠামো এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ মেধাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ। এ লক্ষ্যে সকলকে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে।
রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যের শুরুতে বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালীন একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গৌরবের বিষয়। করোনার অব্যাহত ঢেউ অগ্রাহ্য করে জাতি সাড়ম্বরে উদযাপন করছে মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। আমরা নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। দেশে-বিদেশে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনের এ শুভক্ষণে দেশবাসীসহ বিদেশে বসবাসরত সকল প্রবাসীকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি।
রাষ্ট্রপতি তার বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে দলমতের পার্থক্য ভুলে উন্নয়নের যাত্রায় শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতিসংঘ কর্তৃক ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। ১৯৭৫-এর পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কর্মকা- এবং উপযুক্ত নীতি ও কার্যক্রমের অভাবে অর্থনীতিতে তেমন গতি সঞ্চার হয়নি। তবে বিগত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জাতির পিতার আদর্শের সরকার দায়িত্বে থাকায় তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফলে দেশ আজ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ‘গুরুত্বপূর্ণ অর্জন’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্টের নির্ধারিত ৩টি সূচক মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকের প্রতিটিতে নির্ধারিত স্কোরের বেশি অর্জন করায় চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করে, যা স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ক্ষণে দেশের এ সাফল্য জাতির জন্য বয়ে এনেছে এক অভাবনীয় গৌরব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ, দূরদর্শী ও অদম্য নেতৃত্বের জন্য আমাদের এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। এজন্য আমি তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশের সব ক্ষেত্রে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া ও সাফল্যের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং তথ্য কমিশন সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারসহ চাঞ্চল্যকর অন্যান্য মামলার রায় দ্রুত নিষ্পত্তি করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
দুর্নীতি, মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণে দেশে স্বস্তি বিরাজ করছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। সুশাসনের উদ্দেশ্যে প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির আওতায় আনার লক্ষ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা, সিটিজেনস চার্টার এবং শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সুশীল সমাজ এবং অংশীজনদের সমন্বিতভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ এবং অংশীজনদের সমন্বিতভাবে কাজ করে যেতে হবে।
রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, জাতি হিসেবে আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত অতিক্রম করছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর সোপান বেয়ে আমরা পৌঁছে গিয়েছি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর স্বর্ণ তোরণে। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর নির্মাণ এখন সমাপ্তির পথে। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় মনোবল, বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে ‘পদ্মাসেতু’ বাস্তবায়ন হয়েছে। এ সেতুর বাস্তবায়ন জাতি হিসেবে আমাদের স্বকীয়তা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, স্বচ্ছতা, সক্ষমতা, জবাবদিহি, দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাসের প্রতীকস্বরূপ মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস দিয়েছে।
মো. আবদুল হামিদ বলেন, পদ্মাসেতুর নেগোসিয়েশনের পর অন্যান্য মেগা প্রকল্পে নেগোসিয়েশন দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহু লেন টানেলের দ্বিতীয় টানেলের নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়েছে। সমগ্র দেশে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ডিসেম্বর ২০২২ সালে বিজয় দিবসের উপহার হিসেবে দেশের জনগণ প্রথম মেট্রোরেলে চলাচল করতে পারবে।
তিনি বলেন, ৫৭তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এমডিজির সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১৫ হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত এসডিজির বিভিন্ন সূচকে অনন্য অগ্রগতির স্বীকৃতিস্বরূপ সম্প্রতি বাংলাদেশ ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হয়। এ প্রাপ্তি আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের এক বিশাল অর্জন। এ সম্মান বাংলাদেশের, এ সম্মান সমগ্র বাঙালি জাতির।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ‘রূপকল্প ২০২১’-এর সার্থক বাস্তবায়ন শেষে ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়ন করছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সফল সমাপ্তিতে গৃহীত হয়েছে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫। দেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত বিবর্তনাধীন বিষয়সমূহ বিবেচনা করে প্রণীত হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’। এর প্রেক্ষাপটে ২০৩১ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্যের অবসান ও উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে উত্তরণ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের অবলুপ্তিসহ উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদায় আসীন হওয়ার লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ২০২১-২০৪১ মেয়াদে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশে উন্নীত করা প্রয়োজন। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রয়োজন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা, ব্যাপক শিল্পায়ন, অর্থনীতি সুসংহতকরণ, সুষ্ঠু অবকাঠামো এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ মেধাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ। এ লক্ষ্যে সকলকে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বক্তব্যে আরও বলেন, এখন পৃথিবীর যে ১১টি দেশকে ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য ‘উদীয়মান এগারো’ বলে অভিহিত করা হয়, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। গত এক দশকে গড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ এবং পরপর তিন বছর ৭ শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি অর্জনের পর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ১-৫ শতাংশে উন্নীত হয়।
তিনি বলেন, করোনার প্রভাব সত্ত্বেও যে কয়েকটি দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য কাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমে কৃষিপ্রধান দেশ এখন আধুনিক অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য ধারণ করেছে। অর্থনৈতিক উন্নতির এ ধারাবাহিকতায় বর্তমানে জিডিপিতে কৃষির অবদান মাত্র ১৩ শতাংশ, অন্যদিকে শিল্প ও সেবা খাতের অবদান জিডিপিতে যথাক্রমে ৩৫ ও ৫২ শতাংশ, যা অত্যন্ত আশাপ্রদ। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করেছে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ।
বর্তমান সরকারের আমলে দেশের ব্যাপক উন্নয়নের খ-চিত্র তুলে ধরে মো. আবদুল হামিদ বলেন, বিগত দেড় দশকে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৫৪৩ মার্কিন ডলার হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলারে এবং জিডিপির আকার ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা হতে ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। রপ্তানি প্রায় ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১০ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে প্রায় ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৭৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে আজ ৪৮ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাজেটের আকার ১০ গুণ বেড়ে ৬১ হাজার ৫৭ কোটি টাকা থেকে ৩ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ কোনো স্বপ্ন নয়; বরং বাস্তবতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন শুধু দেশে নয়, বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কোডিভ-১৯ পরিস্থিতিতে যখন গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত, তখন সরকারের বিভিন্ন ডিজিটাল উদ্যোগ মানুষকে দেখিয়েছে নতুন পথ, জুগিয়েছে প্রেরণা। কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত করলেও থামিয়ে দিতে পারেনি। জীবন ও জীবিকার অসাধারণ সমন্বয়ের মাধ্যমে করোনা সংকট মোকাবিলায় অনন্যসাধারণ নেতৃত্ব প্রদানের কারণে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর এ স্বীকৃতি আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের, যা বিশ্ব দরবারে আমাদের সম্মান আরও বৃদ্ধি করেছে।