সিরিজ বোমা হামলা প্রতিবাদ দিবসে ওবায়দুল কাদের
উত্তরণ প্রতিবেদন: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, এই দেশের রাজনীতিতে ১৫ আগস্টের হত্যাকা-, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলা ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা অভিন্ন ষড়যন্ত্রের অংশ। এগুলোর মাস্টারমাইন্ড বিএনপি। সব ঘটনায় প্রমাণ হয় বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। গত ১৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তৎকালীন বিএনপি-জামাত সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল। সিরিজ বোমা হামলায় বিএনপি জড়িত ছিল, তা না হলে কেন তারা নীরব ছিল? আসলে তৎকালীন বিএনপি সরকার সিরিজ বোমা হামলাকারীদের সহায়তা করেছিল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে একযোগে সারাদেশে বোমা হামলা করে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীরা। যখন একযোগে সারাদেশে বোমা হামলা হয় তখন বিএনপি কেন নীরব ছিল? নিশ্চয়ই তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলেই নীরব ছিল। বিএনপি এ সকল ঘটনার সঙ্গে জড়িত এই কথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। এমনকি ১৫ আগস্ট হত্যাকা-ের মাস্টারমাইন্ডও বিএনপি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একযোগে বোমা হামলার জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি ও জনবল একদিনে জোগাড় করা হয়নি। তৎকালীন সরকার নীরব ছিল কেন? বিএনপিই এই ঘটনার আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ও পৃষ্ঠপোষক। তারা এটা করেছিল ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। মুক্তচিন্তা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দেয়ার জন্য। তাদের কাছে রাষ্ট্র ও স্বাধীনতা কখনোই নিরাপদ ছিল না। এখনও নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৭ আগস্টের বোমা হামলা ছিল উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর শক্তি পরীক্ষা। একযোগে তারা তাদের শক্তির জানান দিয়েছিল। এর মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে এদেশে জঙ্গি কার্যক্রম। তখন সামনে এসেছিল বাংলাভাই। রাজশাহীর একটি অংশ তার দখলেই ছিল। রাজশাহী শহরে প্রকাশ্যে মিছিল করেছিল তারা। এর ধারাবাহিকতায় অনেকগুলো বোমা হামলা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটি বিদেশি গণমাধ্যমে দেখলাম হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জাতিসংঘের কাছে জানিয়েছে যে, বাংলাদেশে অনেকে গুম হয়েছে। তাদের অনেককে এখনও পাওয়া যায়নি। এটা বাংলাদেশকে অপমান করার শামিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জোসিকে সরকার গুম করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। কিন্তু থলের বিড়াল বের হয়ে এসেছে। তিনি অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছেন। অস্ত্র ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাদের এ-রকম গুমের অনেক সাজানো নাটক রয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।