Sunday, September 24, 2023
বাড়িSliderষাটোর্ধ্ব সব নাগরিককে পেনশন দিতে আইন প্রণয়নের নির্দেশ

ষাটোর্ধ্ব সব নাগরিককে পেনশন দিতে আইন প্রণয়নের নির্দেশ

উত্তরণ প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ষাটোর্ধ্ব সব নাগরিকের জন্য একটি সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি এ-সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন এবং সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে একটি কর্তৃপক্ষ গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তন’ বিষয়ক একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার। উপস্থাপনাটি দেখার পর প্রধানমন্ত্রী এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দেশের ষাটোর্ধ্ব সব নাগরিকের জন্য পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ইশতেহারে সরকারি-বেসরকারিসহ সব ধরনের অনানুষ্ঠানিক খাতের ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের জন্য পেনশন স্কিম চালুর কথা বলা হয়েছিল। সেই নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী এর আগেই সর্বজনীন পেনশন চালুর বিষয়ে রূপরেখা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার আলোকে অর্থ বিভাগ থেকে সর্বজনীন পেনশনের কৌশলপত্রটি প্রণয়ন করে প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের কৌশলপত্রের ওপর বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন। অর্থ বিভাগকে এ-সংক্রান্ত একটি আইন জরুরিভিত্তিতে প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ারও নির্দেশ দেন। অর্থ বিভাগ থেকেও এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের অঙ্গীকার ছিল। সেটি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আন্তরিক। এজন্য এই কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক ও হতদরিদ্র মানুষকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনার পরিকল্পনা সাজানোর কথা এর আগে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন। এর আগে ২০১৬ সালের বাজেট-বক্তৃতায় সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও পেনশনের আওতায় আনার চিন্তার কথা বলেছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি তখন বলেছিলেন, দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মাত্র ৫ শতাংশ সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত, তারাই পেনশন-সুবিধা পান। বাকি ৯৫ শতাংশের মধ্যে প্রায় ৮ শতাংশ গ্রাচ্যুইটি সুবিধা পেলেও অন্যদের জন্য সেই সুবিধাও নেই। বয়োজ্যেষ্ঠ সবাইকে পেনশন দেওয়ার ভাবনার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছিলেন, মানুষের গড় আয়ু বাড়ার কারণে প্রবীণদের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, বিপরীতে নগরায়ণের ফলে প্রবীণদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীন হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রবীণদের শেষ জীবনে আর্থিক সুরক্ষায় সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন এখন ‘সময়ের দাবি’।

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ

মন্তব্য