Sunday, September 24, 2023
বাড়িSliderশ্রীলংকার মতো হবে না বাংলাদেশ

শ্রীলংকার মতো হবে না বাংলাদেশ

এডিবি’র আবাসিক প্রতিনিধি গিনটিং বলেন, ‘বাংলাদেশের ঋণ ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো। শ্রীলংকার সেটা ছিল না। তাই সংকটে পড়েছে দেশটি। এক প্রশ্নের জবাবে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা খুব ভালো। এছাড়া জিডিপি’র তুলনায় ঋণ অনুপাত সহনীয় অবস্থানে আছে। সুতরাং ভয়ের কোনো কারণ নেই। শ্রীলংকার চেয়ে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ।’

উত্তরণ ­ডেস্ক: বাংলাদেশ শ্রীলংকার মতো অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে না বলে মনে করছে উন্নয়ন সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাংলাদেশে এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি এডিমন গিনটিং বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা খুব ভালো। এছাড়া জিডিপির তুলনায় ঋণ-অনুপাত সহনীয় অবস্থানে আছে। সুতরাং ভয়ের কোনো কারণ নেই। শ্রীলংকার চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। শ্রীলংকার মতো বাংলাদেশ তাই সংকটে পড়বে না।’ গত ৬ এপ্রিল দুপুরে এডিবির প্রতিবেদন ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬.৯ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
এডিবি’র আবাসিক প্রতিনিধি গিনটিং বলেন, ‘বাংলাদেশের ঋণ ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো। শ্রীলংকার সেটা ছিল না। তাই সংকটে পড়েছে দেশটি। এক প্রশ্নের জবাবে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা খুব ভালো। এছাড়া জিডিপি’র তুলনায় ঋণ অনুপাত সহনীয় অবস্থানে আছে। সুতরাং ভয়ের কোনো কারণ নেই। শ্রীলংকার চেয়ে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ।’ তবে দুটি বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন এডিমন গিনটিং। এগুলো হলো ঋণ ব্যবস্থাপনা নীতিকে আরও শক্তিশালী করা এবং অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ বাড়ানো। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হারে বাড়তে পারে জানিয়ে এডিবি বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের ‘সঠিক পথেই’ আছে।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে বলা হয়, বৈদেশিক বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের ভেতরের অর্থনৈতিক কর্মকা-েও গতি সঞ্চার হয়েছে, তারই প্রতিফলন ঘটেছে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস। মহামারির অভিঘাত সামাল দিতে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের বাস্তবায়ন এবং রেমিট্যান্স প্রবাহও এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। এই ধারা চললে ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি পৌঁছাতে পারে ৭ দশমিক ১ শতাংশে। অবশ্য প্রবৃদ্ধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মূল্যস্ফীতি বাড়ার পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, গত ২০২০-২১ অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বেড়ে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে পৌঁছাতে পারে ৬ শতাংশে।
মূলত রপ্তানিতে তেজিভাব এবং বিনিয়োগের দিক থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন গিনটিং।
এডিবি বলেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও পরোক্ষভাবে হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য সীমিত, তবে এই যুদ্ধের কারণে ইউরোপের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর বাংলাদেশ হচ্ছে ইউরোপের বড় অংশীদার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যাওয়ায় সারাবিশ্বে মূল্যস্ফীতির ওপর প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে এডিবি। এ বিষয়ে এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। এর ফলে আশা করছি মূল্যস্ফীতির চাপ কমে আসবে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধহয়তো কাকতালীয়
পরবর্তী নিবন্ধমে মাসের দিবস
আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ

মন্তব্য