রায়হান কবির
মানবজাতির পার্লামেন্ট জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ এবং তার সাহসী অভিভাষণে উচ্চারিত সত্যের আলোয় বাংলাদেশের অবস্থান ও মর্যাদা বিশ্বসভায় আরও সুদৃঢ় হয়েছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বমানবের ক্ষুধা-দারিদ্র্য ও দুঃখ-দুর্দশার প্রকৃত কারণ উন্মোচন করে বৈষম্যের বিরুদ্ধে যেমন বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন- ‘বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত- শোষক এবং শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।’ ঠিক তেমনি মানবমুক্তির অন্তস্থলে শয্যাগত চরম সত্যকে বিশ^মঞ্চে উপস্থাপন এবং বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সাহসী দাবি উচ্চারণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার জ্যোতির্ময় ব্যক্তিত্ব ও মহিমান্বিত নেতৃত্বের অনন্য বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। জাতিসংষের ৭৬তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত ভাষণে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় টিকা প্রাপ্তির সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা, মানবমুক্তির জন্য সকল শ্রেণিভেদ-বৈষম্য দূরীকরণ ও সুযোগের সমতা নিশ্চিতকরণ, ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রতিষ্ঠায় নিরস্ত্রীকরণ নীতির বাস্তবায়ন, সন্ত্রাস ও সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়ন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, সকলের জন্য স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি উত্থাপন করেছেন। যার মধ্য দিয়ে তিনি বিশ্ব মানবের মুক্তির ইশতেহার তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি বৈশ্বিক সংহতি ও পারস্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ এবং সর্বজনীন বিষয়গুলোতে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সে প্রচেষ্টা বাস্তবায়ন জাতিসংঘ মঞ্চ থেকেই শুরু করার দাবিও উত্থাপন করেছেন। একই সাথে বিশ্বের পিছিয়ে পড়া দেশ-জাতি-জনগোষ্ঠীর টেকসই উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং নিম্ন আয়ের দেশসমূহের শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল সেবা-সরঞ্জামাদি ও ইন্টারনেটের সুযোগ-সুবিধার সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। একই সাথে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিনি একদিকে যেমন বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, অন্যদিকে বিশ্ব মোড়ল ও সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা এই সমস্যাকে দীর্ঘতর করছে সেই তথ্যও বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতার ক্ষেত্র তৈরি করেছেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা ২৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৯০১ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন এবং ১৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৩৭ মিনিটে ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর ফিনল্যান্ড থেকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বিকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি (জেএফকে) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন : ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় গত ২০ সেপ্টেম্বর সকালে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা বিষয়ক নেতৃবৃন্দের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ রেখে যেতে ‘সার্বিক বৈশ্বিক’ উদ্যোগের মাধ্যমে জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের প্রতি আশু সাহসী ও জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ৬টি সুপারিশ পেশ করেন তিনি। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ঐদিন সকালে নিউইয়র্কে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করেন।
শেখ হাসিনা তার প্রস্তাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে প্যারিস চুক্তির কঠোর প্রয়োগের আহ্বান জানান। তিনি উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিল আদায়ের ওপরও জোর দেন। উন্নয়শীল দেশগুলোতে নতুন আর্থিক প্রক্রিয়া এবং সবুজ প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লোকসান এবং ক্ষয়ক্ষতির সমস্যা এবং সেই সাথে বৃহৎ আকারের জনসংখ্যার স্থানচ্যুতি মোকাবিলার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে তাদের অভিযোজন ও প্রশমন প্রচেষ্টায় সহায়তা করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, সরকার সবুজ প্রবৃদ্ধি, স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ গ্রহণ করেছে। তিনি এটা স্পষ্ট করেন যে সরকার জলবায়ু ঝুঁকি থেকে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং তা থেকে জলবায়ু সমৃদ্ধির পথে যাত্রা করেছে।
এসডিজি অর্জনে জাতিসংঘে ৫ প্রস্তাব
গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত টেকসই উন্নয়নের ওপর নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য একটি জাতিসংঘে পাঁচ-দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর্থ ইনস্টিটিউট, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক এ সম্মেলনের আয়োজন করে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি থেকে স্থায়ীভাবে উত্তরণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে ফিরে যাওয়ার জন্য একটি সাহসী ও উচ্চাভিলাষী বৈশ্বিক রোডম্যাপ প্রণয়ন করা প্রয়োজন, যাতে কেউ পেছনে পড়ে না থাকে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি থেকে টেকসই উত্তরণের ওপরেই এখন এসডিজির সাফল্য নির্ভর করছে। এখন বিশ্বের সব স্থানে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা সময়ের দাবি এবং তা অতি জরুরি।’ তিনি তার দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলেন, ‘২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নে আমাদের সম্পদের যে বিশাল ব্যবধান রয়েছে, তা অবশ্যই কমাতে হবে।’ তৃতীয় প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চলমান বৈশ্বিক মহামারির অভিঘাতের কারণে ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার জন্য আমরা উদ্বিগ্ন।’ তিনি আরও বলেন, ‘অধিকন্তু, আমাদের পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সামাজিক সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনীর ওপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।’ চতুর্থ প্রস্তাবে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি থেকে পুনরুদ্ধার পদক্ষেপগুলো ভবিষ্যতে যে কোনো ধরনের বিপর্যয় বা দুর্যোগ মোকাবিলায় জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণকে পূর্ণতা দেবে।’ সর্বশেষ প্রস্তাবে তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে অবশ্যই পর্যবেক্ষণ জোরদার করা ও যান্ত্রিক সহায়তার ওপর আরও গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে জাতিসংঘের সমন্বয় বাড়ানো উচিত।
‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ অর্জন
গত ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক পথে অগ্রসরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণকে এই পুরস্কার উৎসর্গ করেন।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক শেখ হাসিনাকে ‘জুয়েল ইন দ্য ক্রাউন অব দ্য ডে’ হিসেবে তুলে ধরেন এবং ডি সচ বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাস চলাকালেও এসডিজি প্রচারণা কার্যক্রম চালাতে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘এই পুরস্কার হচ্ছে এসডিজির লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে জোরালো দায়িত্ব পালনের একটি প্রমাণপত্র। আমরা আপনার কথা শুনতে চাই, বিশেষ করে এজন্য যে আমরা যখন পৃথিবীর দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের অগ্রগতি বিশ্লেষণ করি, যা প্রতি বছর জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক করে থাকে, সেখানে ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অগ্রগতিতে বিশ্বে প্রথম হয়েছে। তাই আমরা সেই অর্জনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই।’
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বঙ্গবন্ধুর নামে বেঞ্চ
গত ২০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনের বাগানে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি বেঞ্চ উৎসর্গ এবং একটি বৃক্ষরোপণ করেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা।
এ সময় বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। এর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে আসেন এবং এখানে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন। সেই সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তরের লনের বাগানে বৃক্ষ রোপণ করা হলো এবং একটি চেয়ার উৎসর্গ করা হলো। এই বৃক্ষটাও শতবর্ষের ওপর টিকে থাকবে এবং শান্তির বারতাই বয়ে বেড়াবে বলেন তিনি। এজন্য তিনি জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানান।
নারী নেত্রীদের নেটওয়ার্ক গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ
স্থানীয় সময় গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে নিউইয়র্কে নারী নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বিশ্বে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে তিন-দফা প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে নারী নেতাদের একটি নেটওয়ার্ক গঠনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রথম প্রস্তাবে বলেন, ‘আমি লিঙ্গ সমতার বিষয়ে উপদেষ্টা বোর্ড প্রতিষ্ঠার জন্য আপনাদের প্রশংসা করি। এখন এটিকে স্থানীয়করণ করা দরকার। আমাদের প্রত্যেক পর্যায়ে, বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ে লিঙ্গ চ্যাম্পিয়ন প্রয়োজন এবং আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপনের মাধ্যমে নেতৃত্ব দিতে পারি।’ দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলেন, নারী নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলোকে পর্যাপ্ত রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করা প্রয়োজন। এ ধরনের প্রচেষ্টায় সহায়তার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তৃতীয় ও শেষ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি লিঙ্গ সমতার জন্য আমাদের সাধারণ কর্মসূচিকে জোরদার করতে নেতাদের একটি সম্মেলন ডাকার আহ্বান জানাচ্ছি। শুধু আমরা নয়, সকল নেতার এতে যোগদান করা উচিত এবং লিঙ্গ সমতার অগ্রগতির জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতি উপস্থাপন করা উচিত।’
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
গত ২২ সেপ্টেম্বর ভোরে নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক সময় ২১ সেপ্টেম্বর বিকালে) এক ব্যবসায়িক গোলটেবিল বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি), নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, নীল অর্থনীতি, পর্যটন ও হাই-টেক পার্কের মতো বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিশীল খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কের ‘লোট নিউইয়র্ক প্যালেস’ হোটেল থেকে ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সঠিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত রয়েছে।’ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জ্বালানি, ব্যাংকিং ও বীমা খাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের কারণে অবশ্যই বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার হতে পারে বলেও প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
‘ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে ‘বাংলাদেশ ফরওয়ার্ড : দ্য ফ্রন্টিয়ার ফর গ্রোথ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি নিশা বিসওয়াল গোলটেবিল বৈঠক পরিচালনা করেন এবং উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতারাও এতে অংশ নেন।
উন্নয়নশীল দেশকেও টিকা উৎপাদনের সুযোগ দিন
গত ২২ সেপ্টেম্বর ‘হোয়াইট হাউস গ্লোবাল কোভিড-১৯ সামিট : এন্ডিং দ্য প্যানডেমিক অ্যান্ড বিল্ডিং ব্যাক বেটার হেলথ সিকিউরিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, টিকা লাভের সর্বজনীন অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সক্ষমতা থাকা উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মাধ্যমে টিকার স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের সুযোগ দেওয়া উচিত।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তিন ধাপ পন্থা অবলম্বন করেছে। প্রথমত; জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা, যন্ত্রপাতি, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং সম্পদ বরাদ্দ করা। এ পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে আমাদের নাগরিকদের, বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবিকা সুরক্ষায় সহায়তা প্রদান এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ পুনরুদ্ধার করা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভার্চুয়াল এ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সম্মেলনে ভাষণে তিনি কোভিড-১৯ মহামারি অবসানে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ব্যবসায়ী এবং বেসরকারি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার দিকে এগোচ্ছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইসিটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, সুনীল অর্থনীতি, পর্যটন, হাই-টেক পার্কসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিশীল খাতে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তেল শোধনাগার স্থাপনে আগ্রহী কুয়েত
গত ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহ। এ সময় কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতার বিষয়ে একটি রোডম্যাপ তৈরির প্রস্তাব দেন। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ওই বৈঠকের পর নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি বলেন, কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তারা আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে একটি রোডম্যাপ ও একটি অভিযোজ্য কর্মসূচি প্রস্তুত করতে চায়।
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক
গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফান লফভেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, তার সরকার কর্মীদের স্বার্থের জন্য আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এ ব্যাপারে তিনি তার পরামর্শ চান। শেখ হাসিনা একই সঙ্গে তাকে অবহিত করেন, প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে মহামারি করোনাভাইরাস চলাকালেও কোনো বাংলাদেশি গার্মেন্ট শ্রমিক চাকরি হারায়নি। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা হোটেল লোটে নিউইয়র্ক প্যালেসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন।
রোহিঙ্গা সংকটে আন্তর্জাতিক শক্তির নিষ্ক্রিয়তা হতাশাজনক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘অতি জরুরি’ভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ সংকট প্রশ্নে প্রধান আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর নিষ্ক্রিয়তা বাংলাদেশকে মর্মাহত করেছে। অথচ সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল। গত ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের উচ্চ পর্যায়ের এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি, তারা (রোহিঙ্গারা) মিয়ানমারের নাগরিক। সুতরাং, তাদের অবশ্যই নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিয়ে তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারেই ফিরে যেতে হবে।’ শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতএব, এ ব্যাপারে জরুরি প্রস্তাব গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, এক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশে যা কিছু করছি তা সম্পূর্ণরূপে অস্থায়ী ভিত্তিতে করা হচ্ছে।’ বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘হাই-লেভেল সাইড ইভেন্ট অন ফরসিবলি ডিসপ্লেস মিয়ানমার ন্যাশনালস (রোহিঙ্গা) ক্রাইসিস : ইম্পারেটিভ ফর এ সাস্টেইনেবল সল্যুশন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আঞ্চলিক ক্ষেত্রে আমরা চীন, ভারতসহ প্রধান শক্তিগুলোকে এ সংকট সমাধানে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছি। আমরা সার্বক্ষণিকভাবে আসিয়ানকে আরও সক্রিয় রাখার চেষ্টা চালিয়েছি। বহুপক্ষীয় ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর মনোযোগ আকর্ষণ করে জাতিসংঘ প্রস্তাবের মাধ্যমে বিষয়টি আলোচনার টেবিলে ধরে রেখেছি। তবে, দুঃখজনকভাবে দুর্ভাগা, গৃহহীন হয়ে পড়া মিয়ানমারের নাগরিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা এখন পর্যন্ত কোনো আলোর মুখ দেখেনি। আজ পর্যন্ত তাদের একজনও তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে পারেনি।’
প্রধানমন্ত্রী এই সংকট সমাধানে পাঁচ-দফা আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমত; অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সবার জোরালো প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত; প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা দূর করতে মিয়ানমারে রাজনৈতিক দৃশ্যপটের পরিবর্তন ঘটানো এবং এই সংকট সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার সংশোধন প্রয়োজন। চতুর্থ প্রস্তাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা জরুরি হলেও এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও তাদের ধারণক্ষমতার জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে জাতিসংঘ ও অংশীদারদের মিয়ানমারে অবশ্যই স্পষ্ট বিভিন্ন পদক্ষেপ ও প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন চালানোর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি থেকে রেহাই দেওয়া মোটেও উচিত হবে না। তিনি আরও বলেন, নির্যাতনকারীদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো নিশ্চিত করতে বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দাঁড় করাতে চলমান আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার প্রতি ঢাকার জোরালো সমর্থন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও মানবাধিকার পরিষদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কৌশল গ্রহণ করতে বিশ্বের জোরালো সমর্থন চান।
স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থা চাই
গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে ‘জাতিসংঘ ফুড সিস্টেমস সামিট ২০২১’-এ ভার্চুয়ালি যোগদান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য অধিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী একটি ‘স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থা’ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে পাঁচ-দফা সুপারিশ পেশ করেন। একই সঙ্গে তিনি একটি বৈশ্বিক জোট ও অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় হ্রাসের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যাপ্ত খাবার পাওয়ার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার, যা সকল নাগরিকের কল্যাণ ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত এবং বৈশ্বিক ব্যবস্থার সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব রয়েছে।’
এই সামিটে বক্তৃতাকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, খাদ্য নিরাপত্তা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে আন্তঃসংযুক্ত। পূর্ব-রেকর্ডকৃত বক্তৃতায় ‘২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জনসংখ্যা ১০ বিলিয়ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য আরও খাদ্য উৎপাদন করা অপরিহার্য। শেখ হাসিনা তার পরামর্শে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি উন্নয়নের জন্য গবেষণা, বিনিয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তি বিনিময়ের ওপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা অর্জনের লক্ষ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বর্ধিত তহবিল প্রয়োজন।
লেখক : গবেষণা সহকারী, উত্তরণ