অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম: মাতৃভাষার ধারক ও বাহক মূলত নারীই। একদিকে নারী যেমন শিশুর মুখে বুলি ফোটানোর মধ্য দিয়ে ভাষার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে ব্যস্ত, অন্যদিকে এই মাতৃভাষা যখন অস্তিত্ব সংকটে পড়ে, তখনও এই নারীই তা রক্ষাকল্পে সদা সচেষ্ট। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন এর অন্যতম সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। বাঙালি নারী শাড়ি, চুড়ি, টিপ পরে যেমন বাঙালিত্ব ধারণ করে, তেমনি তাদের এই বাঙালিত্ব সন্তানের মুখে বাংলা ভাষা তুলে দিয়ে, তা টিকিয়ে রাখা পর্যন্তও। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে যখন বাংলা ভাষার ওপর চরম আক্রমণ আসা শুরু করে, তখন পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ভাষার মান রক্ষার্থে প্রাণপণে লড়েছিল। ফলে, বিভিন্ন স্তরের জণগণের লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র বিনির্মাণে নারী সমাজের অংশগ্রহণ হয়ে ওঠে অনস্বীকার্য।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগোত্তর ও পূর্বকালের বিভিন্ন জনের লেখনী প্রচেষ্টায় রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কিত বিষয়টি আলোচনায় এলে নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ চোখে পড়ে। এ-সময় নারীদের অন্যতম মুখপত্র ‘বেগম’ পত্রিকায় সম্পাদকীয় প্রবন্ধ, চিঠিপত্র প্রভৃতির মাধ্যমে নারীরা রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে তাদের মনোভাব ফুটিয়ে তোলে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নারী-সমাজ আর্থ-সামাজিকভাবে এমনিতেই অনগ্রসর ছিল, তদুপরি উর্দুভাষার সাথে তারা ছিল সম্পূর্ণ অপরিচিত। এ-বিষয়ে আলোকপাত করে ১৯৪৭ সালের ১১ মার্চ সৈয়দা নজিবুন্নেসা বেগমের একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়, “অল্প দিনের মধ্যে অল্প শিক্ষিতা নারীজাতি অশিক্ষিতা হইয়া যাইবেন এবং স্বামী পুত্রের সহযোগিতা করিতে পারিবেন না। রাষ্ট্রভাষা যদি বাংলার পরিবর্তে উর্দুু হয়, তবে আমাদের মতো স্বল্পশিক্ষিতা নারীদের জন্য উর্দু শিক্ষার কি ব্যবস্থা হইবে, তাহা আমাদের ধারণাতীত” (সাপ্তাহিক বেগম, ১৯৪৭)।
১৯৪৭ সালের নভেম্বর মাসে পূর্ব পাকিস্তানের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিকট যে স্মারকলিপি প্রদান করে তাতে অন্যদের সাথে মিসেস লীরা রায় এমএ (সম্পাদিকা, জয়শ্রী), মিসেস আনোয়ারা চৌধুরী, বিএবিটি (সেক্রেটারি, নিখিল বঙ্গ মোসলেম মহিলা সমিতি) স্বাক্ষর করেন। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদে পূর্ব বাংলার প্রতিনিধি ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত উর্দু ও ইংরেজির সাথে বাংলাকেও গণপরিষদের অন্যতম ভাষা হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ-প্রস্তাব অগ্রাহ্য হওয়ায় ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন হচ্ছে এ-জাতীয় প্রথম আন্দোলন যেখানে নারীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হয় (কবির, ২০১৪ : ১৩৮)।
১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দীনের পল্টন বক্তৃতার পর পরবর্তী পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে ৩১ জানুয়ারি ঢাকা বার লাইব্রেরিতে একটি সর্বদলীয় সভা আহ্বান করা হয়। উক্ত সভায় বিভিন্ন বক্তার সাথে ইডেন কলেজের ছাত্রী মাহবুবা খাতুন তার বক্তৃতায় বলেন, “বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি স্বীকার করিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজন হলে মেয়েরা তাদের রক্ত বিসর্জন দেবে।” এ-সভায় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় এবং এর অন্যতম সদস্য ছিলেন মিসেস আনোয়ারা খাতুন (পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের সদস্য)। ১৯৫২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করা এবং আরবি হরফে বাংলা ভাষা প্রচলনের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা শহরের স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা পূর্ণ ধর্মঘট পালন করে। ২১শে ফেব্রুয়ারির সর্বাত্মক হরতালকে সফল করার জন্য নারীদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করার মতো। মেয়েরা বিশেষ করে লায়লা সামাদ, শামসুন নাহার, শাফিয়া খাতুন, সারা তৈফুর, রওশন আরা বাচ্চু, সুফিয়া ইব্রাহিম, রওশন আরা রহমান, হালিমা খাতুন, কায়সার সিদ্দিকী প্রমুখ ছাত্রীরা ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (যেমনÑ বকশী বাজার কলেজ, যা বর্তমানে বদরুন্নেসা কলেজ, মুসলিম গার্লস স্কুল, বাংলা বাজার গার্লস স্কুল, কামরুন্নেসা গার্লস স্কুল প্রভৃতি) গিয়ে মেয়েদের আন্দোলনের পক্ষে উদ্বুদ্ধ করেন এবং এতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সাথে এ-সময় ইডেন কলেজের ছাত্রীরাও ব্যাপক হারে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। তারা পোস্টার বিতরণ, স্কুলে গিয়ে ছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করা, পিকেটিং প্রভৃতি কাজে জড়িত ছিলেন। ২১শে ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় গাজীউল হকের নেতৃত্বে সভা শুরু হয় এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে-বিপক্ষে বক্তৃতার পর তিনি ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে সভার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এই সিদ্ধান্তের সমর্থনে পরে সুফিয়া ইব্রাহিম, শাফিয়া খাতুন, রওশন আরা বাচ্চু, শামসুন্নাহার, সারা তৈফুর প্রমুখসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রী কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাস্তায় বের হন (দৈনিক আজাদ, ১৯৫২)।
অংশগ্রহণকারী নারীদের মধ্যে সবাই ছিলেন শহরবাসী। একজন ব্যতীত বাকি সকলের পরিবারই শহরে বসবাস করত। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারীগণ প্রায় সবাই ছিলেন বয়সে তরুণ এবং অধিকাংশই অবিবাহিত। বিবাহিত-অবিবাহিত নারীদের পিতা/স্বামীগণ সম্মানি পেশায় নিয়োজিত ছিলেন এবং সকলেই ছিলেন শিক্ষিত। পূর্ব বাংলার মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেণির নারীরা ভাষা-আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। মায়ের ভাষা রক্ষার সহজাত ও গণতান্ত্রিক দাবি থেকেই তারা স্বত্বঃস্ফূর্তভাবে ভাষা আন্দোলনে যোগদান করেন। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারীদের উদ্বুদ্ধকরণের কাজটি করেছে পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী এবং রাজনৈতিক দল। ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন বিভাগীয় এবং জেলা শহরে নারীদের অগ্রগণ্য ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। স্কুলের ছাত্রীরাও মিছিলে অংশ নিয়েছে। চট্টগ্রামের আন্দোলনে নারীরা বিভিন্ন স্থানে চাঁদা তুলেছে এবং পথে পথে হেঁটে ভাষার দাবি প্রচার করেছে। রাজশাহীতে ভাষা আন্দোলন ও সংগ্রাম সফলভাবে পরিচালনার জন্য নারীরা বিভিন্ন স্থানে চাঁদা তুলেছে। যে সকল এলাকায় গিয়েছে, সেখানেই অভাবিত সাড়া পেয়েছে। সে-সময়ের প্রেক্ষিতে, তাদের সংগৃহীত চাঁদা আন্দোলনে খুবই কাজে লেগেছিল (কবির, ২০১৪ : ১৪০)।
ভাষা আন্দোলনে আরও যেসব নারীর কথা আমরা জানি তারা হলেনÑ যশোরের হামিদা রহমান, বগুড়ার রহিমা খাতুন, সিলেটের হাজেরা, মাহমুদ, যোবেদা খাতুন চৌধুরী, শাহেরা বানু, রাবেয়া খাতুনসহ অনেকেই। ময়মনসিংহে নারী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নজরবন্দি হন তাহমিদা সাইদা। ভাষা আন্দোলনের নারায়গঞ্জের অন্যতম নারীনেত্রী মমতাজ বেগম গ্রেফতার হলে সারাদেশে আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। পরবর্তী সময়ে মমতাজ বেগমকে মুক্তি দেওয়ার প্রশ্নে সরকার পক্ষ এক স্বীকারোক্তিতে সই করার প্রস্তাব দিলে, তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। ইতোমধ্যে, ভাষা আন্দোলনের জন্য তিনি সংসার জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। কুমিল্লার লায়লা নূরের অবদানও ছিল ব্যাপক। ভাষা সংগামী অধ্যাপক চেমন আরা ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন কবি বেগম সুফিয়া কামালও। অনেক কর্মীর সাথেই তার নিবিড় যোগাযোগ ছিল। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনে ভাষাকন্যা নাদেরা বেগম পুলিশের ঘেরাও থেকে আত্মগোপন করেছিলেন সুফিয়া কামালের বাসায়। আর, আমাদের পবিত্র শহিদ মিনারের নকশায় চট্টগ্রামের এক সৃজনশীল নারী সম্পৃক্ত ছিলেন। শহিদ মিনার নির্মাণকালে অনেক নারী টাকা-পয়সা সংগ্রহ করে এবং অনেক কূলবধূ নিজেদের গহনা শহিদ মিনারে রেখে নারীর অবদানকে আরও সুদৃঢ় করে (বেগম, ২০০২)।
বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতেও ভাষা আন্দোলনে নারী ও ছোট মেয়েদের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ রয়েছে। আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, “যে কয়দিন আমরা কারাগারে ছিলাম; সকাল ১০টায় ¯ু‹লের মেয়েরা (মুসলিম গার্লস স্কুল) ছাদে উঠে শ্লোগান দিতে শুরু করতো। আর ৪টায় শেষ করত। ছোট্ট-ছোট্ট মেয়েরা একটুও ক্লান্ত হতো না। ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’, ‘বন্দি ভাইদের মুক্তি চাই’, ‘পুলিশি জুলুম চলবে না’ এমন এমন নানা ধরনের শ্লোগান। এরপর জিন্নাহর ঘোষণা পরবর্তী সব কর্মসূচিতে নারীরা সরব ছিলেন। পরে বায়ান্নর ২৭ জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দিন কর্তৃক জিন্নাহর ঘোষণা পুনরাবৃত্তি হলে মহান একুশের মূলক্ষেত্র তৈরিতে ছাত্রীরা সাহসী ভূমিকা রাখে। ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে বাংলা ভাষার দাবিকে চাঙ্গা করতে গঠিত হয় তমুদ্দুন মজলিস। নারী ভাষা সৈনিকদের মধ্যে আবুল কাশেমের স্ত্রী রাহেলা, বোন রহিমা এবং রাহেলার ভাইয়ের স্ত্রী রোকেয়া আন্দোলনকারী ছাত্রদের আজিমপুরের বাসায় দীর্ঘদিন রান্না করে খাইয়েছেন” (রহমান, ২০১২ : ২০০)।
২১শে ফেব্রুয়ারি নারী ভাষা সৈনিকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার মাধ্যমে ১৪৪ ধারা প্রত্যাখ্যান করতে সক্ষম হন। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার মূল কাজটা রওশন আরা বাচ্চুসহ আরও কয়েকজন ছাত্রীর দ্বারাই হয়। দলে দলে বেরিয়ে ব্যারিকেড ধরে টানাটানির কাজটা ছাত্রীরাই শুরু করে। সেদিন পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেলে অনেক ছাত্রী আহত হন। ১৯৫৫ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৪৪ ধারা ভাঙার দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন ছাত্রী গ্রেফতার হন, তাদের মধ্যে লায়লা নূর, প্রতিভা মুৎসুদ্দি, রওশন আরা বেনু, ফরিদা বারী অন্যতম (দৈনিক ইনকিলাব, ২০১৯)।
ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারীদের মধ্যে অনেকেই পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন উৎস থেকে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণ আন্দোলনকে দ্রুত সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তবে, তাদের এ অংশগ্রহণ সংখ্যার বিচারে না করে সামগ্রিক জনগণের অংশগ্রহণ হিসেবে মূল্যায়ন করলে, তা যথাযথ হবে। নারীদের মধ্যে মাত্র ছয়জন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের স্বীকৃতি পেয়েছেন। ১৪ জন কোনো প্রকার স্বীকৃতি পাননি। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি (একুশে পদক) পেয়েছেন মাত্র একজন। ইতিহাসের বয়ান যে প্রতাপের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তারই ফলশ্রুতিতে পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকাশিত হয়নি ভাষা আন্দোলনে নারীর অবদান (সেন, ১৯৮৬ : ১১৪; কবির, ২০১৪)।
ভাষা আন্দোলনে নারী সমাজের অবদান হিসেবে তারা একদিকে সক্রিয় ছিলেন মিছিল ও প্রতিবাদ সভা এবং অন্যদিকে সাংগঠনিক কাজ ছাড়াও তহবিল গঠন, চাঁদা সংগ্রহ ও পোস্টার তৈরি করেছেন। ভাষা আন্দোলনে নারীর অংশগ্রহণের পূর্ণ ও সঠিক তথ্য নেই। শুধু বিক্ষিপ্ত কিছু তথ্য জানা যায়। ভাষা আন্দোলনে নারীর অবদান নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন, যাতে যুগ যুগ ধরে পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারে তাদের কথা, উদ্বুদ্ধ হতে পারে দেশপ্রেমে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে পুনর্নির্মাণ করা এখন তাই আবশ্যক। উল্লেখ্য, ভাষা আন্দোলন নারীদের মধ্যে যে রাজনৈতিক শক্তি সঞ্চালিত করে, সেই শক্তিতেই নারী এগিয়ে এসেছিল মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে। পরবর্তীতে, এই রাজনৈতিক সচেতনতা অসংগঠিত রক্তাক্ত পরিস্থিতিতে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যার পর (১৯৭৫) ও গণতন্ত্রের পুনরুত্থানেও নারীকে সক্রিয় রেখেছিল। স্বৈরশাসনের মধ্যেও নারী এগিয়ে এসেছে নিজস্ব গতিতে এবং বিভিন্ন মৌলিক অধিকার ও রাজনৈতিক প্রতিরোধ আন্দোলনে অংশগ্রহণ অব্যাহত রেখে।
লেখক : ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ