Thursday, November 30, 2023
বাড়িSliderবাংলাদেশের উন্নয়নের সাফল্য অত্যান্ত চিত্তাকর্ষক

বাংলাদেশের উন্নয়নের সাফল্য অত্যান্ত চিত্তাকর্ষক

উত্তরণ প্রতিবেদন: বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার বলেছেন, বাংলাদেশ তার অসাধারণ উন্নয়নের মাধ্যমে গোটাবিশ্বকে চমকে দিয়েছে। তিনি একে ‘উন্নয়নের একটি সফল ঘটনা হিসেবে’ বর্ণনা করেন। গত ১৪ নভেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি সফল ক্ষেত্র এবং একটি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক অর্জন করেছে। বাংলাদেশ তার উন্নয়নের মাধ্যমে চমক সৃষ্টিকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠছে।’ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে মুক্ত ও স্বচ্ছ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংককে যুদ্ধ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কারণ যুদ্ধের ফলে সংকটে সমগ্র বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যকার সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি যৌথভাবে উদ্যাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন মার্টিন রাইজার। তিনি ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি গণভবনে জাতির পিতার সঙ্গে তোলা বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট স্ট্রেঞ্জ ম্যাকনামারার একটি ছবিও হস্তান্তর করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে শেখ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বব্যাংকের ‘গভটেক লিডারস’ তালিকায় ২৯তম বাংলাদেশ
বিশ্বব্যাংকের ‘গভটেক লিডারস’ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারের বিভিন্ন সেবা প্রদান এবং এসব সেবা গ্রহণে নাগরিকদের সম্পৃক্ত করার ইকোসিস্টেম তৈরিতে নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে এই অর্জন করল বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের ২০২২ সালের গভটেক ম্যাচুরিটি ইনডেক্স (জিটিএমআই) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের জিটিএমআই ২০২২ অনুসারে, মোট ০.৮৪ স্কোর (১.০০ এর মধ্যে) নিয়ে জিটিএমআই-এর ‘ক্যাটাগরি এ : ভেরি হাই গভর্নমেন্ট ম্যাচুরিটি’তে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই গ্রুপে থাকা প্রতিটি দেশকে ‘গভটেক লিডারস’ হিসেবে বিবেচনা করে বিশ্বব্যাংক। নতুন স্কোরের ভিত্তিতে বিশ্বের ১৯৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২৯তম অবস্থানে রয়েছে। জিটিএমআই ২০২০-এ বাংলাদেশের স্কোর ছিল ০.৭২। অবস্থান ছিল ক্যাটাগরি বি : হাই গভটেক ম্যাচুরিটি গ্রুপে। জিটিএমআই ২০২২-এ সরকারি খাতের বিভিন্ন সেবা প্রদানের ডিজিটাল রূপান্তরের ৪টি প্রধান দিককে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এগুলো হলো- কোর গভর্নমেন্ট সিস্টেমস, পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারি, সিটিজেন এনগেজমেন্ট এবং গভটেক এনাবলার্স। বিশ্বব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ এই প্রতিবেদনে বিশ্ব অর্থনীতির ১৯৮টি দেশের গভটেক ম্যাচুরিটির একটি চিত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। জিটিএমআই ২০২২-এ গভটেক-এর নতুন নতুন প্রবণতা, অনুশীলন ও সেগুলো বাস্তবায়নে গুরুত্ব প্রদান করেছে। জিটিএমআই-র তথ্যানুসারে, সরকারিভাবে গভটেক বাস্তবায়নে বিশ্বের গড় স্কোর হলো ০.৫৫২ (১.০০-এর মধ্যে)। আর কোর গভর্নমেন্ট সিস্টেমস ইনডেক্স (সিজিএসআই)-এর স্কোর ০.৫৭৫, পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারি ইনডেক্স (পিএসডিআই)-এর স্কোর ০.৬৪৯, ডিজিটাল সিটিজেন এনগেজমেন্ট ইনডেক্স (ডিসিইআই)-এর স্কোর ০.৪৪৯, এবং গভটেক এনাবলার্স ইনডেক্স (জিটিইআই)-এর স্কোর হলো ০.৫৩৬। জিটিএমআই-এর ৪টি ইনডেক্সের মধ্যে ৩টিতে ‘ক্যাটাগরি এ : ভেরি হাই জিটিএমআই’ এবং একটিতে ‘ক্যাটাগরি বি : হাই জিটিএমআই’ অর্জন করেছে।
বাংলাদেশের সিজিএসআই স্কোর হলো ০.৯১৫ (২০২০ সালে যা ছিল ০.৭০); পিএসডিআই স্কোর হলো ০.৭০৭ (২০২০ সালে যা ছিল ০.৬৫); ডিসিইআই স্কোর হলো ০.৮৩৭ (২০২০ সালে যা ছিল ০.৭৭); এবং জিটিইআই স্কোর হলো ০.৯২০ (২০২০ সালে যা ছিল ০.৭৪)।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বাধীনতার ৫১ বছরের পথচলা
পরবর্তী নিবন্ধউত্তরণের এক যুগপূর্তি
আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ

মন্তব্য