আসাদ মান্নান
সে কবে জন্মের পর একদিন মাটির উপর
ভর করে দাঁড়ালাম আমি এক নগ্ন নরশিশু;
দক্ষিণে সমুদ্র রেখে সামনে দেখি সুউচ্চ পাহাড়
দিগন্তে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে হাত-পা ছড়িয়ে
নিখুঁটি মেঘের খাটে; আহা! এমন অপূর্ব দৃশ্য
যে না দেখে মারা যায় তার জন্ম বৃথা; দিবালোকে
যে আঁকে নির্জন পটে নানা মুখ কুমারী সন্ধ্যার
সে এক পাথর ভেঙে উঠে আসা পাকা তীরন্দাজ:
জগতে এমন কিছু দৃশ্য আছে চোখের আলোয়
কখনো যায় না দেখা- দেখতে হয় মনে দীপ জ্বেলে।
আস্থা কত পোক্ত হলে অন্ধ বরফের জুতো পায়ে
আগুনের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারে শূন্যের মহলে!
কে ছোটে শাবল হাতে ভেঙে দিতে পাহাড়ের ঘুম-
মৃত্যুর অদৃশ্য রূপে নীরবতা দেখে তার ছায়া:
কতটা গরিব আর বোকা হলে অক্ষম কাঠুরে
যে পাহাড়ে বাঘ থাকে সে পাহাড়ে কাঠ কাটতে যায়!
বাঘের রাজত্বে ঋষি ধ্যানে মগ্ন আয়েশি ভাষায়;
যে কাটে পাহাড় স্বপ্নে বাস্তবে সে দুঃখ চাষ করে-
পাহাড় কাটার পর ভেঙে যায় দুঃখের নীলিমা
সুভাষিত
হাবীবুল্লাহ সিরাজী
৩০
খোলার অপেক্ষা
পাতা জ্বেলেছিলো কাঠি
শীতগুলো পোড়ে
হিমালয় পরিপাটি!
৩১
দিনের যুক্তি রাতের আর্তনাদে
তর্কে বিরল মধুর আগুন খাদে-
শীর্ষে যতোই শীতল সৌরাঘাত
বিনয়শঙ্খ বাড়ায় বজ্রপাত!
৩৭
আকাশের কাছাকাছি ঝুঁটি
হাওয়াদের পেটে খোঁজে মেঘ,
নীলে মাখা নীল-
চষ্ণু যদি হিমতৃষ্ণা তবে
শাদার বয়নে ওড়ে শাদা,
চোখের মিছিল!