Wednesday, October 4, 2023
বাড়িSliderদ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে

উত্তরণ প্রতিবেদন

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট লাঘবে কম দামে পণ্য কিনতে ১ ­কোটি মানুষকে বিশেষ কার্ড দেওয়া হবে উল্লেখ করে বলেছেন, তার সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা ১ কোটি মানুষকে টার্গেট করেছি, আমরা তাদের বিশেষ কার্ড দেব, যাতে তারা ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে।
গত ১৫ মার্চ তার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রায় সাড়ে তিন বছর পর ক্ষমতাসীন জোট ১৪-দলের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সূচনা বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সরকারের এ পরিকল্পনার কথা জানান।
সরকারের কাছে যথেষ্ট খাদ্য মজুদ আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এখনও ১৮ লাখ টন খাদ্য মজুদ আছে আমাদের, সেখানে কোনো অসুবিধা নেই। ইতোমধ্যেই কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন ৩৮ লাখ লোক আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। এদের সঙ্গে আরও অনেককে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং শেষ পর্যন্ত মোট ১ কোটি মানুষ এই কার্ড পাবে। ইতোমধ্যেই ৫০ লাখ লোককে কার্ড দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা ১০ টাকায় চাল কিনতে পারে। সেই ব্যবস্থা করা আছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধের কারণে (রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ) পরিবহন ব্যয় অর্থাৎ কার্গো ভাড়া খুব বেড়ে গেছে। কারণ, সয়াবিন তেল আমাদের ব্রাজিল থেকে এবং পামওয়েল মালয়েশিয়া থেকে আসে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম খুব বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, দাম বাড়তে দেখলে সবাই মজুদ করে, সবাই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে, এ ব্যাপারে আমরা ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ভোজ্যতেলের বিষয়ে দেশ এখন শতকরা ৯০ ভাগ আমদানি নির্ভরশীল উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালি ভোজ্যতেলের ব্যাপারে আমরা ৯০ ভাগই পরনির্ভরশীল হয়ে গেছি। ইতোমধ্যে আমাদের বিজ্ঞানীরা সরষের কয়েকটি বীজ আবিষ্কার করেছেন, যার ভালো উৎপাদন হবে। আগামী কয়েক বছরে পেঁয়াজ আর বাইরে থেকে আনতে হবে না, আমরাই রপ্তানি করতে পারব। এ ব্যাপারেও বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। আশা করি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পেঁয়াজ আর বাইরে থেকে আনতে হবে না। আমরা রপ্তানি করতে পারব। সেভাবে আমরা কৃষকদের সবরকম সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, প্রত্যেকটা জিনিস যেন আমরা নিজেরা উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মেটাতে পারি সে-রকম একটা অবস্থানে আমাদের যেতে হবে। কারও মুখাপেক্ষী হয়ে যেন থাকতে না হয় সে-জন্য আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। ফসল উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, কারও এতটুকু জমি যেন অনাবাদি না থাকে, যে যা পারেন সেটাই উৎপাদন করবেন। প্রত্যেকটা এলাকাতেই কিছু না কিছু উৎপাদন হবে। সেটাই আমার লক্ষ্য। তাতে আমাদের যে খাদ্য চাহিদা সেটা যেন পূরণ করতে পারি।

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ

মন্তব্য