Sunday, September 24, 2023
বাড়িদশম বর্ষ,চতুর্থ সংখ্যা,মার্চ-২০২০দিনপঞ্জি : ফেব্রুয়ারি ২০২০

দিনপঞ্জি : ফেব্রুয়ারি ২০২০

০২ ফেব্রুয়ারি

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারিগরি দিক দিয়ে বিশ্ব দ্রুত এগিয়ে চলছে। খুব শিগগির চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ঘটবে। সেই বিপ্লবের সঙ্গে মানিয়ে চলতে আমাদের জনশক্তিকে দক্ষ করা অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে সরকার। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ২৩তম আইডিইবি জাতীয় সম্মেলন এবং ‘স্কিলস রেডিনেস ফর এচিভিং এসডিজি অ্যান্ড এডপটিং আইআর ৪.০’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধনকালে তিনি এ-কথা বলেন।

০৭ ফেব্রুয়ারি

  • আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিরোধী দল শক্তিশালী হোক, বড় সমাবেশ করুক সেটাই আমরা চাই। কারণ শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে বিএনপির নেতারা হতাশায় ভুগছেন এবং আবোল-তাবোল বলছেন। তাদের নেতিবাচক রাজনীতিই নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ। তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতারা নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ নন, জনগণকে তারা কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করবেন? ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

১০ ফেব্রুয়ারি

  • দক্ষিণ আফ্রিকায় যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অর্জনকে মুজিববর্ষের সেরা উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এটা অত্যন্ত আনন্দের বিজয়। খেলায় এত বড় বিজয় আগে কখনও পাইনি। দেশে ফিরে আসার পরে ক্রিকেটারদের বিশাল সংবর্ধনা দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী এ-কথা বলেন।

১২ ফেব্রুয়ারি

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রযুক্তিনির্ভর জাতি গঠনে তার সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আজকে বিশ্ব যখন প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বর্তমান যুগটাই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাচ্ছে; তখন বাংলাদেশ পেছনে থাকবে তা হতে পারে না। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে তিনি এ-কথা বলেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ এবং আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে এ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা সব সময় এগিয়ে থাকতে চাই। আর সেই চিন্তা থেকেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। যার সুফল এখন দেশবাসী পাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মকে এমনভাবে শিক্ষিত করতে চাই যেন প্রতিযোগিতাময় বিশ্বের সঙ্গে তারা তাল মিলিয়ে চলতে পারে। সেজন্য প্রযুক্তি শিক্ষাটা একান্তভাবে দরকার।
  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিযোগিতাময় বিশ্বের উপযোগী করে প্রযুক্তিনির্ভর জাতি গড়ে তুলতে চায় বর্তমান সরকার। নতুন প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তিতে আরও বেশি আগ্রহী করতে কম্পিউটার শিক্ষা ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম করে দেওয়া হচ্ছে। সরকারপ্রধান বলেন, সরকার দেশকে আরও উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। তরুণ ও যুবসমাজকে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক চর্চায় অধিক হারে সম্পৃক্ত করতে হবে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বিভিন্ন প্রকল্প ও অনুষ্ঠানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

১৩ ফেব্রুয়ারি

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবাইকে কঠোর পরিশ্রম ও সততার সঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা সেবা প্রদান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারিগরÑ এ দুইয়ের সমম্বিত শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। দেশের সর্ববৃহৎ বাহিনী আনসার-ভিডিপি’র সদস্য হিসেবে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। জননিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতে সততা, সাহস ও আন্তরিকতার সঙ্গে সবাইকে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, মনে রাখবেন, জনগণ ও বিনিয়োগের নিরাপত্তা এবং শান্তির পরিবেশ ধরে রাখা আপনাদের পবিত্র দায়িত্ব। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ। আপনারা এ পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমরা সবাই একযোগে কাজ করলে বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলাদেশ’ অচিরেই বাস্তবে রূপান্তরিত করতে পারবÑ এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুরে আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪০তম জাতীয় সমাবেশ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
    ১৫ ফেব্রুয়ারি
  • আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের বিশ্বাস, আস্থা আমরা অর্জন করতে পেরেছি। দীর্ঘদিন একটানা সরকারে থেকেও জনগণের যে আস্থাটা ধরে রাখতে পেরেছি, এটাও একটা বড় অর্জন। দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা চলাকালে উপস্থিত মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের গতি ও ধারাটা অব্যাহত রাখতে হলে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। নৌকা মার্কা ছাড়া এই উন্নয়ন হয় না। নৌকা মার্কা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, আর এই নৌকার মাধ্যমেই সব অর্জন। কাজেই আপনারা জনগণের কাছে যাবেন। জনগণের কাছে গিয়ে ভোটের কথা বলবেন।

১৬ ফেব্রুয়ারি

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চাকরির পেছনে ছোটার মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। যুবসমাজকে দক্ষ এবং যোগ্যতাসম্পন্ন করে তোলার লক্ষ্যে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হবে, যাতে তারা চাকরির পেছনে না গিয়ে উদ্যোক্তা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ষষ্ঠ উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে এ বৈঠকে ট্রাস্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মেধাবী কিন্তু দরিদ্র শিক্ষার্থীদের স্বাবলম্বী করে তোলার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিবারকে আরও উন্নত করতে শিক্ষাগত সহায়তা প্রদানের জন্য এই ট্রাস্ট গঠন করেছি। তিনি গণহারে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে দ্বিমত ব্যক্ত করে বলেন, তারা যেন সরকারি ভর্তুকির ওপর নির্ভরশীল হয়ে না পড়ে। এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য সিড মানি হিসেবে আরও ৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবে তিনি সম্মতি দেন। এর আগেও সরকার এ লক্ষ্যে ৫ কোটি টাকা প্রদান করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন সক্ষমতা অনুযায়ী ভর্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন। অর্থের অভাবে শিক্ষার সুযোগবঞ্চিত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গঠন করা হয়। ২০১১-১২ অর্থবছরে ট্রাস্টের সিড মানি হিসেবে ১ হাজার কোটি টাকা প্রদান করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও আর্থিক সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে ৫৫০ কোটি ৯০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ট্রাস্ট এ বছর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২ লাখ ৯ হাজার ৬০০ দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
    ১৭ ফেব্রুয়ারি
  • রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ চলমান অগ্রগতি ও গণতন্ত্রের বিকাশ টেকসই করার লক্ষ্যে সরকার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন করতে সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সংসদ সদস্যদের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে দেওয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনারা হচ্ছেন সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন। তাই এ বন্ধন যত বেশি মজবুত ও দৃঢ় হবে, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের বিকাশও তত বেশি টেকসই হবে। তিনি বলেন, আপনারা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। জনগণ অনেক আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে আপনাদের ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি বানিয়েছেন। তাই আপনাদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো।

১৮ ফেব্রুয়ারি

  • জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ সামনে রেখে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কারও প্রতি বিদ্বেষ নিয়ে তিনি চলতে চান না। কারও প্রতি প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেও চান না। যেখানে অন্যায় হয়েছে, সেখানেই ন্যায় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। অনেক কষ্ট, ব্যথা-বেদনা বুকে চেপে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, যেন দেশের মানুষ একটু সুখের মুখ দেখে, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এসবের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। অগ্নিসন্ত্রাস, নাশকতা, নানা ষড়যন্ত্রসহ বৈরী অবস্থা মোকাবিলা করেই সরকার দেশকে সবদিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের এই অগ্রযাত্রার ধারা অব্যাহত রাখতে দেশবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, দেশবাসীকে বলব জঙ্গি-সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ী ও ধর্ষকদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দিন। একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনা ও সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

২০ ফেব্রুয়ারি

  • মাতৃভাষার মর্যাদাকে সমুন্নত রাখা এবং দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, পৃথিবীতে এখন আর একা একটি দেশ চলতে পারে না। অন্য দেশকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হয়। জীবন-জীবিকার জন্য অন্যভাষা শেখারও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু তাই বলে নিজের ভাষাকে ভুলে যাওয়া, নিজের ভাষা বিস্মৃত হওয়া মোটেই ঠিক নয়। অমর একুশে ফেব্রুয়ারি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘একুশে পদক-২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ-কথা বলেন।

২১ ফেব্রুয়ারি

  • দেশে ইংরেজি মাধ্যমে পড়–য়া শিক্ষার্থীদের বাংলা উচ্চারণের দৈন্যদশা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এখনকার অনেক ছেলেমেয়েকে দেখা যায় ইংরেজি উচ্চারণে বাংলা বলার চেষ্টা করে। বাংলা বলতে তাদের কেমন যেন কষ্ট হয়। অথচ তারা এই দেশের আলো-বাতাসে, এই দেশের মাটিতেই বড় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশের মাটিতে বড় হয়ে বাংলা বলতে পারে না, ইংরেজি উচ্চারণে কথা বলে, তাদের জন্য করুণা করা ছাড়া কিছুই বলার নেই। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

২৩ ফেব্রুয়ারি

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এমনভাবে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে একটি অন্যটির পরিপূরক হতে পারে। তিনি বলেন, একবার পরিকল্পনা (উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর) গৃহীত হলে সেগুলো সংহত করা এবং একে অপরের পরিপূরক হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের সোনারগাঁও-বুয়েট লিংকের হাতিরঝিল অংশের পুনঃঅ্যালাইনমেন্টের পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা দেখার সময় এসব কথা বলেন।

২৫ ফেব্রুয়ারি

  • দারিদ্র্য বিমোচন করে উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত হওয়াসহ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে ২০ বছর মেয়াদি আরও একটি রূপকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ নামের নতুন এই রূপকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। এনইসি’র সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এনইসি’র সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুমোদন দেওয়া হলেও নতুন প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়াসহ বেশ কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলায় নতুন প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় আরও বেশি আলোকপাত করা দরকার। এ জন্য ডিজিটাল অগ্রগতি, পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্কসহ তথ্যপ্রযুক্তির সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। এর বাইরে গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আয়বৈষম্য হ্রাস, ভারী শিল্পসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানের শিল্প (এসএমইএ), মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পর্যটন উন্নয়নে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। সব বিষয়ে গবেষণা উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নতুন প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় যতদূর সম্ভব হালনাগাদ তথ্য ব্যবহার করতে হবে।

২৬ ফেব্রুয়ারি

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাধ্যমিকে নবম শ্রেণিতে ওঠা শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে ভাগ করার আর যুক্তি দেখছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নবম শ্রেণি থেকেই বিষয়ভিত্তিক এই বিভাজন তুলে দেওয়ার বিষয়ে তিনি তার নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করেছেন। বলেছেন, এটা না থাকাই ভালো। এসএসসির পরে গিয়ে যদি বিভক্ত হয়, সেটাই ভালো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ের শাপলা হলে ৩৬টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৮’ বিতরণকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ-কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের সর্বোচ্চ নম্বর/সিজিপিএ প্রাপ্তদের হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবই পড়–ক, তারপর যেখানে সে মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে, সেটা করে নেবে। তাহলে অন্তত তাদের মেধা বিকাশের একটা সুযোগ হয়। প্রধানমন্ত্রী চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রসঙ্গ টেনে শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এখন সব সাবজেক্টই বিজ্ঞানভিত্তিক। সেটা ধীরে ধীরে চলেই এসেছে। বিজ্ঞানের বাইরে কিছু নেই।
  •  

২৭ ফেব্রুয়ারি

  • মশা নিধনসহ জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করে সব নাগরিকের জন্য সমান সেবা নিশ্চিত করতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মাঝে মাঝে অনেকগুলো ঝামেলা চলে আসে। এখন যেমন করোনাভাইরাস; এর আগে এসেছিল ডেঙ্গু। এখন থেকে এই মশা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে হবে। মশা আপনার ভোট যেন খেয়ে না ফেলে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। ক্ষুদ্র
    মশা হলেও অনেক শক্তিশালী, এটা মাথায় রাখতে হবে। সেদিকে আপনারা বিশেষভাবে একটু নজর দেবেন। যেন সঠিকভাবে মশা নিধন হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা মিলনায়তনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র, কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। আমি চাই এসব প্রকল্পে যেন কোনো দুর্নীতি না হয়, অনিয়ম না হয়। আমি কিন্তু কাউকে ছাড়ব না; এটা হলো বাস্তবতা। কারণ আমি জানি আমার সময় খুব কম। গ্রন্থনা : আশরাফ সিদ্দিকী বিটু
আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ

মন্তব্য