সাবিনা, কৃষ্ণা, শামসুন্নাহার, সানজিদারা বাংলাদেশের স্বপ্ন-বিশ্বাসকে কেবল ইস্পাত দৃঢ় করেননি, সামনে এগিয়ে যাওয়ায় সাহস-প্রেরণা এনে দিয়েছেন। তারা বিজয়ী করেছেন বাংলাদেশকে।
আরিফ সোহেল: সাফ নারী ফুটবলের শিরোপা নিয়ে সাবিনা দেশে ফিরে ছাদখোলা বাসে করে মেতেছিল উৎসব-উল্লাসে। গৌরবময় বিজয়ের সেই আনন্দে ভেসেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে অদম্য সাহসী মেয়েরা শুধু আনন্দিত করেননি- দিয়েছেন আশা; দিয়েছেন ভরসা। আর অনুপ্রাণিত করেছেন- বাংলাদেশ আগামীতেও বিজয়ী হবে; বড় আসরে। কারণ বাঙালিরা বিজয়ী জাতি।
কাকতালীয় হলেও বিজয়ী দলের আটজন ফুটবলারই কলসিন্দুর গ্রামের। ময়মনসিংহ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে, গারো পাহাড়ের কোলঘেঁষে একেবারে প্রান্তিক গ্রামের নাম কলসিন্দুর। এরা সবাই উঠে এসেছেন বঙ্গমাতা ফুটবল থেকে। বাকিদের মধ্যে সাবিনার বাড়ি সাতক্ষীরা, কৃষ্ণা রানীর টাঙ্গাইল। আর পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে উঠে এসেছেন রুপনা আর ঋতুপর্ণা। এক কথায় নারী ফুটবল দলের সবাই উঠে এসেছেন একেবারে তৃণমূলের গ্রাম থেকে। গ্রামবাংলার হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া হার না-মানা মানুষের প্রতিনিধি তারা। যাদের জীবনের প্রতিটি বাঁকে অভাব তাড়িয়ে বেড়ায়। তাই মাঠে নামলে তারা জীবনপণ করে লড়তে পারে; জিততে পারে। কারণ তাদের হারাবার কিছু নেই।
শুধু নারী ফুটবলারই নয়- ক্রিকেটার মোস্তাফিজ এসেছেন সাতক্ষীরা থেকে। মেহেদী হাসান মিরাজ খুলনা থেকে। মাশরাফি এসেছেন নড়াইল থেকে, সাকিব মাগুরা থেকে। আর ফুটবলে নারী ফুটবলের পুরো গল্পটাই গ্রামের। ইট-কাঠের শহরকে পাশে রেখে গ্রামের নির্মল বায়ুর প্রাণোচ্ছ্বসিত ছেলে-মেয়েরাই বর্তমানের আশা-ভরসা, ভবিষ্যতের সুদিনের সম্ভাবনা। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। রাজনীতি, সাহিত্য, শিল্পকলা, খেলাধুলা- কোনো কিছুই এর ব্যতিক্রম নয়।
সাবিনা, কৃষ্ণা, শামসুন্নাহার, সানজিদারা বাংলাদেশের স্বপ্ন-বিশ্বাসকে কেবল ইস্পাত দৃঢ় করেননি, সামনে এগিয়ে যাওয়ায় সাহস-প্রেরণা এনে দিয়েছেন। তারা বিজয়ী করেছেন বাংলাদেশকে। নারী ফুটবলারদের বিজয়ের সুফল তাদের পরিবার পাচ্ছে। ফুটবলবান্ধব প্রধানমন্ত্রীসহ অনেকেই তাদের আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ করছেন। বদলে যাবে তাদের টানাপোড়েনের সংসার। সাফজয়ের আনন্দে বাঙালির ঘরে ঘরে যেভাবে হাসি ফুটে উঠছে; ফুটবে তাদেরও। জরাজীর্ণ কাঁচাবাড়িতে উঠবে দালান-কোঠা। ক্ষুধা-দারিদ্র্য-অভাব তাদের দাবিয়ে রাখতে পারেনি। তারা জয় করেছেন সাফ ফুটবলের স্বর্গচূড়া। তাও ফাইনালে স্বাগতিকদের হারিয়ে। ভারত বাধা আগেই বধ। বাকিরা শুধু গোল গুনেছে। এমন বিজয়ের পর মান্না দে’র সেই বিখ্যাত গানে যদি সানজিদা সুর তোলেন- সেখানে আসুন সবাই গলা সুধাই- ‘দুঃখ আমাকে দুঃখী করেনি/করেছে রাজার রাজা।’ আসলেই তারা আঞ্চলিক পরিফেরিতে রাজার রাজা হয়ে ফিরেছে। আর এমন দলের জন্য অঃনিশেষ শুভেচ্ছা, অভিনন্দন, ভালোবাসা তো সুনিশ্চিতভাবে প্রাপ্য।
সাফজয়ী ১১ নারী ফুটবলার
সাফ ফুটবলে পাঁচ ম্যাচেই অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। ছয়জন খেলেছেন বদলি হিসেবে। ছয়জন মাঠে নামার সুযোগ পাননি। তারপরও সবাই এই বিজয়ের অংশীদার। সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের সংখ্যা ২৩। এদের মধ্যে যারা ছিলেন শিরোপা বিজয়ের ১১ কারিগর; আসুন স্বল্প গল্পে জেনে নিই তাদের-
সাবিনা খাতুন : পজিশন স্ট্রাইকার। সাফে অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে দলকে দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন। গোল করেছেন নিজে, করিয়েছেন সতীর্থকে দিয়েও। পাকিস্তান ও ভুটানের বিপক্ষে করেছেন হ্যাটট্রিক। আসরে ৫ ম্যাচের ৩টিতে জিতেছেন ম্যাচের সেরা পুরস্কার। ৮ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। সাফের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও উঠেছে সাবিনার হাতে। জাতীয় দলের হয়ে ৪৮ ম্যাচে গোল ৩২টি। সাতক্ষীরার মেয়ে সাবিনার মুভমেন্ট, পাসিং, ড্রিবলিং মুগ্ধ করার মতো। ২০১০ সাল থেকে খেলছেন জাতীয় দলে।
কৃষ্ণা রানী সরকার : খেলেন স্ট্রাইকিং পজিশনে। শান্তশিষ্ট চরিত্রের কৃষ্ণা রানী সরকার উঠে এসেছেন টাঙ্গাইলের গোপালপুরের উত্তর পাথালিয়া গ্রাম থেকে। সদ্য শেষ হওয়া মেয়েদের সাফ ফুটবলে কৃষ্ণা ৫ ম্যাচে করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ গোল। ফুটবলে কৃষ্ণার হাতেখড়ি ২০১১ সালে বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে। ২০১২ সালে শ্রীলংকায় এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে কৃষ্ণার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলা শুরু। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
মারিয়া মান্দা : মধ্যমাঠ আগলে রাখতে জুড়ি নেই মারিয়া মান্দার। জাতীয় নারী দলের মাঝমাঠে আস্থার প্রতীক মারিয়া মান্দা ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের প্রত্যন্ত গ্রাম মন্দিরগোনা থেকে উঠে এসেছেন। ২০১১ সালের বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের আবিষ্কার মারিয়া। সদ্য শেষ হওয়া সাফে বাংলাদেশের মাঝমাঠও যেন একাই দখল করে রেখেছিলেন। ২০১৪ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ চ্যাম্পিয়নশিপের বয়সভিত্তিক জাতীয় দল দিয়ে শুরু মারিয়ার। এরপর টানা খেলছেন বয়সভিত্তিক ও জাতীয় দলে।
সানজিদা আক্তার : দাপুটে মিডফিল্ডার হিসেবে সানজিদা এখন বাংলাদেশের সম্পদ। ময়মনসিংহের কলসিন্দুর গ্রামের গর্ব সানজিদা আক্তারের বল রিসিভিং, মুভিং, পাসিং, ড্রিবলিংয়ের পাশাপাশি নিখুঁত পাসের জন্য জুড়ি মেলা ভার। বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে ২০১১ সালে। এরপর ২০১৪ সালে বয়সভিত্তিক জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৪ দলে সুযোগ পান।
আঁখি খাতুন : রক্ষণভাগ আগলে রাখতে বেজায় পটু আঁখি খাতুন বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে দীর্ঘাঙ্গি ফুটবলার। তার উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। সিরাজগঞ্জের পারকোলা গ্রামের মেয়ে আঁখি খেলেন ডিফেন্ডার হিসেবে। গোল ঠেকানোর পাশাপাশি ওভারল্যাপ করে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সেও আতঙ্ক ছড়ান তিনি। ২০১৪ সালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ইব্রাহিম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হয়ে খেলেন বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে। নজরকাড়া পারফরম্যান্স দিয়ে পরের বছরই জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে সুযোগ পান।
মণিকা চাকমা : মণিকার বাড়ি খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দুর্গম সুমন্তপাড়া গ্রামে। খেলার মাঠে মধ্যভাগের নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই কাজটা সূচারুরূপে করছেন মিডফিল্ডার মণিকা চাকমা। ২০১৯ সালে বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপে নজর কেড়ে চলে এসেছেন নারী ফুটবলের রঙিন আলোতে। বয়সভিত্তিক দলের মতো জাতীয় দলেও মাঝমাঠে আস্থার প্রতীক মণিকা।
মাসুরা পারভীন : মাঠে কোচ তাকে সেন্টারব্যাক পজিশনে খেলিয়ে থাকেন। কিন্তু মাসুরা পারভীন মাঝে মধ্যেই দুর্দান্ত সব গোল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। ২০১০ সালে সাতক্ষীরার কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় কেএফসি নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে নজর কাড়েন প্রথম। এরপর ২০১৩ সালে খেলেন প্ল্যান অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় নারী চ্যাম্পিয়নশিপে।
সিরাত জাহান : সাবিনা খাতুনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াইয়ে নামতে পারতেন সিরাত জাহানও। তারপরও ৪ গোল করে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা সিরাত। সিরাতেরও ফুটবলে হাতেখড়ি বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে। ২০১৪ সালে নীলফামারীতে প্লান-জেএফএ কাপ অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা ফুটবলের বাছাই ক্যাম্প থেকে সরাসরি অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় নারী দলে ডাক পান সিরাত।
শামসুন্নাহার জুনিয়র : সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সিরাত জাহানদের ভিড়ে একাদশে খুব কম সময়ই সুযোগ মেলে শামসুন্নাহার জুনিয়রের। কিন্তু যদি কখনও বদলি হিসেবে মাঠে নামেন, প্রতিপক্ষের জন্য হয়ে ওঠেন মূর্তিমান আতঙ্ক। এবারের সাফ ফাইনাল ম্যাচে ১৩ মিনিটে স্ট্রাইকার সিরাত জাহান চোট পেলে বদলি হিসেবে খেলেছেন স্ট্রাইকার শামসুন্নাহার। শামসুন্নাহার জুনিয়রের শুরুটাও বঙ্গমাতা স্কুল টুর্নামেন্ট দিয়ে ২০১৪ সালে।
শিউলি আজিম : শিউলিদের বাড়ি কলসিন্দুর গ্রামের নেতাই নদের পাড়ে। ময়মনসিংহের কলসিন্দুর শিউলি আজিম রাইটব্যাকে পছন্দের তালিকায়ও থাকেন সবার আগে। নেপালে অনুষ্ঠিত মেয়েদের সাফে প্রতিটি ম্যাচেই একাদশে ছিলেন শিউলি। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ৫ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে ২৩ গোল। বাংলাদেশের এমন জমাট রক্ষণের অন্যতম সৈনিক শিউলি। শিউলি ২০১৫ সালে নেপালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে প্রথমবার জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে সুযোগ পান।
শামসুন্নাহার সিনিয়র : জাতীয় দলে বর্তমানে খেলছেন দুজন শামসুন্নাহার। তাদেরই একজন সিনিয়র শামসুন্নাহার। খেলেন ডিফেন্ডার পজিশনে। শামসুন্নাহারের বাড়ি ময়মনসিংহের দক্ষিণ রানীপুর গ্রামে। ২০১৪ সালে প্রথমবার বয়সভিত্তিক জাতীয় দলের ক্যাম্পে সুযোগ পান। এরপর থেকে নিয়মিত বাংলাদেশ দলের বয়সভিত্তিক ও জাতীয় দলে খেলছেন।
সাজেদা খাতুন : ছোটখাটো গড়নের সাজেদা খাতুন বেশিরভাগ সময়ই বদলি হিসেবে খেলেছেন স্ট্রাইকার পজিশনে। এবারও মেয়েদের সাফে একটি মাত্র ম্যাচে মাঠে নেমেছেন সাজেদা। বয়সভিত্তিক ফুটবলে গত পাঁচ বছর নিয়মিত খেললেও এবারই প্রথম নেপালে অভিষেক হয় জাতীয় দলে।
তহুরা খাতুন : স্ট্রাইকার পজিশনে তহুরার দুরন্ত। এলাকার সবাই তাকে ভালোবেসে মেসি নামে ডাকেন। বাংলাদেশ দলের এই স্ট্রাইকার নেপালে অনুষ্ঠিত এবারের সাফে প্রথম একাদশে নামার সুযোগ পাননি। তবে বদলি হিসেবেই খেলেছেন প্রতিটি ম্যাচে। বদলি নেমেই সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে করেছেন ১ গোল। ২০১১ সালে বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবল দিয়ে প্রথম নজর কাড়েন তহুরা। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ চ্যাম্পিয়নশিপ, সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্ট, অনূর্ধ্ব-১৫ জকি কাপ- এই তিন টুর্নামেন্টে করেছিলেন ৫টি হ্যাটট্রিক।
নীলুফা ইয়াসমিন : ডিফেন্ডার নীলুফার বদলি নেমেও দুর্দান্ত খেলেছেন। কুষ্টিয়ার মেয়ে নীলুফা ইয়াসমিনের বেড়ে ওঠা লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। বয়সভিত্তিক দল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে।
মার্জিয়া খাতুন : দলের প্রয়োজনে বেশিরভাগ সময় বদলি হিসেবে খেলেন মার্জিয়া খাতুন। বদলি নেমেও ঠিকই ছাপ রাখেন নিজের প্রতিভার। সদ্য শেষ হওয়া নেপালের মেয়েদের সাফেও বদলি হিসেবেই মাঠে নেমেছিলেন। মিডফিল্ডার হিসেবে খেলা মার্জিয়া ২০১৩ সালে শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে নাম লেখান।
ঋতুপর্ণা চাকমা : খেলেন মিডফিল্ড পজিশনে। ঋতুপর্ণা লেফটব্যাক ও লেফট উইং- দুই পজিশনেই খেলতে পারেন। তবে জাতীয় দলের কোচ গোলাম রব্বানী উইঙ্গার হিসেবে খেলিয়ে থাকেন তাকে। রাঙ্গামাটির মেয়ে ঋতুপর্ণা ২০১২ সালে স্থানীয় মগাছড়ি স্কুলের হয়ে বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রথম অংশ নেন। বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে প্রথম সুযোগ পান ২০১৭ সালে, অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় দলে।
রুপনা চাকমা : পজিশন গোলরক্ষক। রুপনাই যেন একেবারে বদলে যাওয়া এক রক্ষণ কারিগর। নেপালে অনুষ্ঠিত সাফে পোস্টের নিচে প্রতিটি ম্যাচেই ছিলেন শান্ত। পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলেছেন। কখনও ফিস্ট করে, কখনও জায়গায় দাঁড়িয়ে লাফিয়ে বল লুফে নিয়েছেন। যার ফলে পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের জালে ২৩ গোল দিলেও হজম করেছে মাত্র ১ গোল! ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো রুপনা জিতে নিয়েছেন সাফে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। ২০১১ সালে প্রথমবার রাঙ্গামাটি জেলা স্টেডিয়ামে নজর কাড়েন রুপনা। স্কুল টুর্নামেন্টে নিজেকে প্রমাণ করে বয়সভিত্তিক অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলে ২০১৮ সালে প্রথম খেলেন রুপনা। এরপর টানা চার বছর খেলছেন বয়সভিত্তিক ও জাতীয় দলে।
লেখক : সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, উত্তরণ