Monday, October 2, 2023
বাড়িউত্তরণ-২০২১একাদশ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা, অক্টোবর-২০২১টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে খুঁজবে রঙিন বাংলাদেশ

টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে খুঁজবে রঙিন বাংলাদেশ

আরিফ সোহেল:

টানা ৩ সিরিজ জয়। বিদেশে জিম্বাবুয়ের পর দেশে বাঘা অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। এমন রেকর্ডখচিত সিরিজ জয়ের সুবাতাস নিয়ে বাংলাদেশ খেলতে যাচ্ছে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। ক্রিকেটপ্রেমীরা সমালোচকদের এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে খুঁজে ফিরবে বিশ্বকাপে এক স্বপ্নময় রঙিন বাংলাদেশকে।
২০২১ আইসিসি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ হচ্ছে আইসিসি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। এই আসর অনুষ্ঠিত হচ্ছে- সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানে। টুর্নামেন্ট শুরু হবে ১৭ অক্টোবর ২০২১। ফাইনাল ১৪ নভেম্বর। টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডের দলগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, স্কটল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি, ওমান, শ্রীলংকা, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও নামিবিয়া।
২০২১ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৩টি শহরে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, শারজা স্টেডিয়াম ও শেখ জায়েদ স্টেডিয়াম এবং মাসকাটের ওমান ক্রিকেট একাডেমি গ্রাউন্ডে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্বকাপ ফরমেটটা এমনÑ প্রথম রাউন্ড থেকে সুপার টুয়েলভ পর্বে ৪টি দল খেলার সুযোগ পাবে। র‌্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে আগেই নিশ্চিত হয়েছে সরাসরি ৮টি দলের সুপার টুয়েলভ পর্বে খেলার। দলগুলো হলো : ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান। নিয়মিত সূচি অনুযায়ী ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় ২০২০ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা ছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কোভিড-১৯ মহামারির কারণে টুর্নামেন্ট স্থগিত করেছিল। পরে ভারতে আয়োজনের কথা থাকলে ২০২১ সালের জুন কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকায় আসরটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নিয়েছে।
আসন্ন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জনের স্কোয়াড বাংলাদেশ জানিয়েছে সেপ্টেম্বরে। ঘোষিত বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে চমক বলতে তামিম ইকবালকে বাইরে রাখা। কিন্তু তামিম নিজ থেকেই সরে গিয়েছিলেন ফিটনেসের কারণে। ২০০৭ সালের পর এই প্রথম তামিম ইকবালকে ছাড়া কোনো বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ দলে জিম্বাবুয়ে সফরে ভালো করা এবং ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজের সেরা ক্রিকেটারদের থেকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। স্কোয়াডে রাখা হয়েছে ৪ জন বিশেষজ্ঞ পেস বোলার। মোস্তাফিজের সঙ্গে জায়গা পেয়েছেন শরিফুল, সাইফউদ্দিন ও তাসকিন। বিশ্বসেরা সাকিবের স্পিনিং পার্টনার নাসুম ও মেহেদী। অনিয়মিত স্পিনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে আফিফ ও শামীম। তবে ১৫ সদস্যের দলের ৮ জনই যাচ্ছেন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে। তারা হলেন- লিটন দাস, নাঈম শেখ, আফিফ, শামীম, শেখ মেহেদী, নাসুম, সাইফউদ্দিন ও শরিফুল। এদের মধ্যে শামীম ও শরিফুল গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ যুব দলের সদস্য ছিলেন।
ওমানে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ খেলবে স্কটল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি ও স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে। এই বাধা পেরিয়ে গেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘সুপার টুয়েলভ’ রাউন্ডে অংশ নেবে বাংলাদেশ। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও প্রথম রাউন্ডের ‘এ’ গ্রুপ থেকে উঠে আসা একটি দল।
বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচের ১৩ দিন আগেই প্রথম রাউন্ডের ভেন্যু ওমানে যাচ্ছে বাংলাদেশ টি-টুয়েন্টি দল। মরুর দেশটিতে নিবিড় অনুশীলন ছাড়াও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নেবেন ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটাররা কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়ে ২ অক্টোবর কোয়ারেন্টিনে প্রবেশ করবেন। ৩ অক্টোবর রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ওমানের মাসকাটের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফের সবাইকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। ছুটিতে থাকা কোচরা নিজ নিজ দেশ থেকে ৩ অক্টোবর ওমানে এসে যোগ দেবেন দলের সঙ্গে। মরুর দেশে ৪ অক্টোবর একদিনের রুম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন ক্রিকেটাররা। এরপর জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে ৫, ৬ ও ৭ অক্টোবর আল-আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে চলবে দলের অনুশীলন। ৮ অক্টোবর স্থানীয় একটি দলের বিপক্ষে অনুশীলন ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের আগে আইসিসির অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে ৯ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে বাংলাদেশ। একদিনের কোয়ারেন্টিনের পর ১১ অক্টোবর হবে অনুশীলন। ১২ অক্টোবর আবুধাবির ওভাল-২ গ্রাউন্ডে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। একদিন বিরতি দিয়ে ১৪ অক্টোবর আবুধাবির ওভাল-১ গ্রাউন্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ আছে বাংলাদেশের।
এই দুই ম্যাচ খেলে ১৫ অক্টোবর ওমানে ফিরে যাবে বাংলাদেশ। একদিন পর সেখানেই শুরু হবে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড। ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে মাহমুদউল্লাহরা। ১৯ অক্টোবর একই সময়ে প্রতিপক্ষ ওমান। ২১ অক্টোবর বিকাল ৪টায় পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
প্রথম রাউন্ডে প্রত্যাশা অনুযায়ী উৎরাতে পারলে ২২ অক্টোবর সুপার টুয়েলভ খেলতে আবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের পথ ধরবে বাংলাদেশ দল। প্রথম রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ সুপার টুয়েলভে উঠলেই পড়বে গ্রুপ-২ তে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর দেশের মাটিতে সাদামাটা চোখে দুরন্ত বিশ্বকাপ প্রস্তুতি মনে হলেও তা নিয়ে নানা কথা উঠেছে। অথচ দেশে প্রথমে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ উড়িয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ৩-২ এ সিরিজ জিতেছিল। পরপর দুটি সিরিজে বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠের সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়ে সিরিজ জিতেছে। বিষয়টি অনেকের মতোই মনঃপূত হয়নি ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের। বরং তিনি তখন বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছিলেন, বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের আগে নিচু বাউন্সের মন্থর উইকেটে না খেলে স্পোর্টিং উইকেটে খেললেই বরং দলের জন্য ভালো হতো। বিশ্বকাপ প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তামিম বলেছেন, ‘আমরা যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছি। বড় দলগুলোকে হারিয়েছি। তবে আদর্শ হতো যদি সত্যিই স্পোর্টিং উইকেটে কয়েকটি ম্যাচ খেলতে দেখতাম দলকে। কারণ, বিশ্বকাপে খেলা হবে ভিন্ন ব্যাপার।’
টানা ৩টি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতায় বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকবে- এটা মেনেও ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছেন, ‘ম্যাচ জেতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমি তাতে একমত। তবে যেহেতু এটা এত বড় একটা টুর্নামেন্টে, সামনের দুই সপ্তাহে যে ধরনের উইকেটে খেলতে হবে, সেসবের সঙ্গে মিল থাকলে ভালো হতো। বাংলাদেশ অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাচ্ছে, যেটা দলের জন্য ইতিবাচক দিক।’ অভিজ্ঞ তামিম আরও বলছিলেন, ‘প্রথম বাধা আমাদের যে কোনোভাবে পার হতে হবে, যেটা হলো বাছাইপর্ব (প্রথম রাউন্ড)। ওমান, স্কটল্যান্ডের মতো ছোট দলগুলোর বিপক্ষে একটু সতর্ক থাকতে হয়। শুরুটা ভালো করতে হবে আমাদের। ইতিহাস বলে, শুরু ভালো করলে বাংলাদেশ গোটা টুর্নামেন্ট ভালো করে। মূল বিশ্বকাপে স্পিনারদের যদি ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে, আমরা অবশ্যই ভালো করব বলে আমি মনে করি। উইকেট ভালো থাকলে খুব চ্যালেঞ্জিং হবে।’
হারানোর কীর্তিকে বাঁকা চোখে দেখছেন সমালোচকরা। তারা বলছেন, মন্থর উইকেটের ফায়দা লুটে অস্ট্রেলিয়ার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সিরিজ জিতলেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পারফরমেন্স ছিল বাজে। ব্যাট হাতে অনুজ্জ্বল ছিলেন সাকিব, মুশফিক ও লিটনরা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের একটি ফিফটি ব্যাটসম্যানদের বলার মতো গল্প। আসন্ন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ব্যাটসম্যানদের এই ফর্মহীনতা নিয়ে দুর্ভাবনায় পড়েছেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিষয়টি ভাবাচ্ছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবকেও। অনুষ্ঠানিকভাবেই সাকিব বলেছেন, ‘এই ৯-১০টা ম্যাচ যারা খেলেছে, সবাই অফ ফর্মে আছে। উইকেটটাই এমন। এখানে কেউ খুব একটা ভালো করেনি। বলতে পারবেন না যে, ও ভালো করেনি। তবে এ-রকম উইকেটে কোনো ব্যাটসম্যান ১০-১৫টা ম্যাচ খেললে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। যারা দলে আছে সবাই দেশকে জেতানোর সামর্থ্য রাখে। যার যার জায়গা থেকে সবাই শতভাগ চেষ্টা করছে।’
নিজেদের কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসী হতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়াকে নাকাল করার পর তৃতীয় সারির নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও ব্যাট-বলের সেরা ২ পারফর্মার নিউজিল্যান্ড। বোলারদের জন্য বানানো উইকেটে ব্যাটাররা কিন্তু রানের খরায় পুড়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্পট লাইটে আসা টোটাল বাংলাদেশকে নিউজিল্যান্ডের খুঁজে পেতে বেশ কষ্ট হয়েছে। ৫ ম্যাচে ১০৫ রান করে সিরিজের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার নাঈম ওপেনিংয়ে মন্দের ভালো। নিজেদের কন্ডিশনে বোলিংয়েও সেরা হতে পারেনি কোনো বাংলাদেশি। ৩.৬৫ ইকোনমিতে ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা বোলার আইজাজ প্যাটেল। ৮ উইকেট নেওয়া নাসুম আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। সিরিজের শেষ ম্যাচে রেস্ট পাওয়া মুস্তাফিজ ছিলেন সব দিক থেকে দুর্দান্ত। ৫টি ম্যাচ খেললে হয়তোবা তিনিই হতে পারতেন সিরিজের সেরা বোলার। স্লোয়ার আর কাটারে বিভ্রান্তিতে ফেলেছেন কিউই ব্যাটসম্যানদের; বিশেষ করে ডেথ ওভারে মুস্তাফিজ ছিলেন সবার থেকে আলাদা। বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজে বড় অশনি সংকেত ছিল টপ আর মিডল অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে। এক মাহমুদুল্লাহ ছাড়া নিয়মিত অবদান আসেনি কারও কাছ থেকেই। ৫ ম্যাচে ৬৫ রান করা লিটন এবং সমান ম্যাচে ৩৯ রান করা মুশফিক ছিলেন একেবারেই নিষ্প্রভ।
ঘরের মাঠে ফিরেই ইতিহাস রচনা করেছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ফুর্তি নিয়ে নেমেছিল কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ। ৫ ম্যাচের এই সিরিজ শুরু হয়েছিল ১ সেপ্টেম্বর। প্রথম দুই ম্যাচে দাপট দেখিয়ে জিতেছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ ম্যাচেই বাংলাদেশ সিরিজ নিশ্চিত করে। নাসুম-মুস্তাফিজ ৪টি করে উইকেট নিয়ে মাত্র ৯৩ রানে গুঁড়িয়ে দেয় নিউজিল্যান্ডকে। এই রান তুলতে বাংলাদেশের খেলতে হয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত। দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করে মাহমুদউল্লাহ-ওপেনার নাইম দলকে জিতিয়েছেন। বাংলাদেশ ৬ উইকেট ব্যবধানের এক ইতিহাসখচিত জয়ের সঙ্গে সিরিজও নিশ্চিত করে। তাতেই রচিত হয়েছে টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের মহাকাব্য।
টি-টুয়েন্টি ফরমেটে র‌্যাংকিং বাংলাদেশের নাম ছিল তলানীতে। ধারাবাহিক ব্যর্থতার বৃত্তে নাভিশ্বাস উঠছিল বাংলাদেশ শিরিবে। ঠিক সেখান থেকেই হঠাৎ করেই দুর্দান্ত মাহমুদ উল্লাহর দল। টানা ৩ সিরিজ জয়ে র‌্যাংকিংয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে ৬ নম্বরে চলে এসেছে বাংলাদেশ।
এটা সত্যি, এর আগে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ তো দূরে থাক, টি-টুয়েন্টির একটি ম্যাচেও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। এই দুয়েÑ টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশ সিরিজ জয়ের সংখ্যা এখন ৯। তালিকায় আছে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলও।
এই র‌্যাংকিং এ-মুহূর্তে কাজে আসছে না বাংলাদেশের। তবে আইসিসির রেকর্ড বুকের মলাট পাতায় বাংলাদেশের নাম টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ৬ নম্বরেই জ্বলজ্বল করবে। ভিন্ন উইকেটে ভিন্ন আমেজ নিয়ে বাংলাদেশ নামছে বটে; কিন্তু পেছনে তাকালেই দেখা পাবে বড় অর্জনের। অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের তাজা ঘ্রাণ। যা টিম বাংলাদেশ হয়ে ওঠার গতিপথ রচনা করবে।
বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ দল : মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাঈম শেখ, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী হাসান, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ।
রিজার্ভ বেঞ্চ : রুবেল হোসেন ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।

লেখক : সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, উত্তরণ

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ

মন্তব্য