উত্তরণ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সংগঠনের ঐতিহ্য সমুন্নত রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের আদর্শে নিজেদের গড়ে তোলার জন্য ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সততা-নিষ্ঠা ও লক্ষ্য স্থির রেখে যারা নিজেদের গড়ে তুলতে পারবে, তারাই সফল ও বড় হবে, দেশকে কিছু দিতে পারবে। আর যদি ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সার দিকে নজর চলে যায় হয়তো তারা ভোগ করতে পারবে, কিন্তু দেশ ও জনগণকে কিছু দিতে পারবে না, নিজেরাও সফল হতে পারবে না। আর জ্ঞান ও শিক্ষাই সবচেয়ে বড় সম্পদ, কেউ কোনোদিন তা কেড়ে নিতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে সেভাবেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। গত ৪ জানুয়ারি উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংগঠনটির আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদদের আদর্শ থাকা দরকার। সৎ পথে থাকলে সবকিছু অর্জন করা যায়। আর মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের মানুষ গৃহহীন থাকবে না, প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে আমরা আলো জ্বালব। বিজয়ী জাতি হিসেবে বাঙালি জাতি বিশ্ব সভায় মাথা উঁচু করে চলবে। দেশ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইনশাল্লাহ আমরা বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব।
’৭৫-পরবর্তী হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এবং ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে অস্ত্র-অর্থ দিয়ে ছাত্রদের বিপথে চালিত করার জন্য জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান খুনি, স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, একাত্তরের গণহত্যাকারীদের ক্ষমতা পরিচালনা করে, এদের ক্ষমতায় বসায়। এরা ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতেই ব্যস্ত ছিল, দেশের জন্য কোনো কিছু করার ইচ্ছাও তাদের ছিল না। বরং তাদের প্রধান লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশকে ব্যর্থ করে দিতে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্র এখনও চলছে, ষড়যন্ত্র যে থেমে গেছে তা একদম ঠিক না। আর যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছিল জিয়াউর রহমান সেই আদর্শকেই ধ্বংস করতে চেয়েছিল। ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ’৭৫-পরবর্তী দুঃসময়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। অনুষ্ঠানে সাফল্যে ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছাত্রলীগের দীর্ঘ ৭৩ বছরের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি ছাত্রলীগের রক্তদান কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেন।