সাইদ আহমেদ বাব: জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতা আন্দোলনে নায়ক, মহান নেতা ও রাজনীতিবিদ রবার্ট মুগাবে। তার নেতৃত্বে জিম্বাবুয়ে শ্বেতাঙ্গ শাসনের বিরোধিতার পাশাপাশি শ্বেতাঙ্গদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন, জিম্বাবুয়ে তথা আফ্রিকান মুক্তিসংগ্রামে রেখেছেন সাহসী এবং স্মরণীয় অবদান। জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র রাষ্ট্রপ্রধান, যিনি টানা ৩৭ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। তাকে দেশটির জাতির জনক বলা হয়।
দক্ষিণ রোডেশিয়ার উত্তর-পশ্চিমে হারারের জিম্বা জেলার কুতামা জেসুইত মিশনের কাছে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫১ সালে ইউনিভার্সিটি অব ফোর্ট হেয়ার থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রশাসন, বিজ্ঞান ও আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। সাক্ষাৎ করেন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব- জুলিয়াস নায়ারে, হার্বাট চিতেপো, রবার্ট সবুকি এবং কেনেথ কাউন্ডা প্রমুখদের সঙ্গে। ঘানায় কাজ করার সময় সেখানকার স্বাধীনতা-পরবর্তী নেতা কোয়ামে এনক্রুমাহ’র আফ্রিকান একত্ববাদের আদর্শ তাকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করে।
১৯৬০ সালে স্বাধীনতার জন্য ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে মুগাবে রোডেশিয়ায় (জিম্বাবুয়ের পুরনো নাম) ফিরে যান শ্বেতাঙ্গ শাসকদের বিরুদ্ধে লড়তে। সেখানেই গেরিলাযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৬২ সালে তাকে রাজনৈতিক কারণে আটক করা হয়। আর এর পরের বছরই তিনি সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন (জানু) নামে রাজনৈতিক দল গঠন করে এর মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন। পরবর্তীকালে ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৪ সাল পুরো এক দশক তাকে শ্বেতাঙ্গ শাসক ইয়ান স্মিথের সংখ্যালঘু শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার অভিযোগে বিনা বিচারে আটকে রাখা হয়। তিনি কারাগারে থাকাকালীন সময়ই তার শিশুসন্তান মারা যায়। তাকে ছেলের শেষকৃত্যে উপস্থিত হওয়ারও অনুমতি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ। ১৯৭৩ সালে কারাগারে থাকা অবস্থাতেই তাকে জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়নের (জানু) সভাপতি নির্বাচন করা হয়। সেখান থেকেই ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত সাউদার্ন রোডেশিয়ার স্মিথ সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র গেরিলাযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন রবার্ট মুগাবে। তার শাসন-ব্যবস্থার বিরুদ্ধে টানা ১৪ বছর বিদ্রোহ ও লড়াই চালিয়ে জয় পান মুগাবে।
আয়রন লেডি বলে খ্যাত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার ১৯৭৯ সালে ইয়েন স্মিথের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বন্ধ করতে একটা সমঝোতা চুক্তি করানোর চেষ্টা করেন। সবাই অবাক হয়ে দেখল, মার্কসবাদের মতাদর্শে চলা কট্টর স্বাধীনতাকামী, নিজের আদর্শে দৃঢ় রবার্ট মুগাবে ১৯৮০ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকার শর্তসহ স্বাধীন জিম্বাবুয়ে নিয়ে এলেন। ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি হলেন জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট। সেই বছরের শেষে তিনি তার অর্থনৈতিক নীতি চূড়ান্ত করেন যেখানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সরকারি বিনিয়োগের জন্য বিবেচনা করার নীতি রাখেন। প্রধানমন্ত্রী ক্রমাগত একদলীয় শাসন-ব্যবস্থায় সমর্থন প্রকাশ করায় মুগাবে আর এনকোমোর মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে। এরপর জাপু মালিকানাধীন এলাকায় প্রচুর অস্ত্রের গুপ্ত ভাণ্ডার পাওয়ার পর এনকোমোকে সরকার থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর তিনিই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাত বছর। প্রথম কয়েক বছর অর্থনৈতিক উন্নতি, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ সমস্ত কিছুর ওপর নজর দেন তিনি। জিম্বাবুয়েতে শিক্ষার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন মুগাবে। আফ্রিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার হার তাদের- মোট জনসংখ্যার ৮৯ শতাংশ শিক্ষিত। দেশের আর্থিক সমৃদ্ধি ও পরিকাঠামো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
১৯৭৯ সালে ল্যানসাস্টার হাউস চুক্তি অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রী জিম্বাবুয়ের জন্য নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হয়, যে সংবিধান মোতাবেক রোডেশিয়ার নতুন নাম ঠিক করা হয় জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের প্রথম সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত হয় ১৯৮০-র ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানরা ব্যাপক সংখ্যায় অংশগ্রহণ করে ও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এতে মুগাবে জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রিত্বে অভিষিক্ত হন। দেশ পুনর্গঠনে পূর্বে যুদ্ধরত দলসহ শ্বেতাঙ্গ রোডেশিয়ান এবং বিবদমান প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐক্যমতে পৌঁছান। জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়নের (জানু) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হওয়ার আগে আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জশুয়া এনকোমোর সাথে কাজ করেন তিনি। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন মুগাবে। তিনি বন্ধুত্বপূর্ণ নীতি অবলম্বন করার ঘোষণা দেন মুগাবে। জাপু’র নেতা এনকোমো’র দলে না থেকে অন্য দল থেকে নির্বাচন করে মুগাবে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করেন। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের অনেকে ঐ বিজয়কে অপ্রত্যাশিত হিসেবেও আখ্যা দিয়েছিলেন।
সেবারের নির্বাচনে ‘স্বঘোষিত মার্ক্সবাদী’ মুগাবে যখন জয়লাভ করেন তখন অনেক শ্বেতাঙ্গই রোডেশিয়া ত্যাগ করার প্রস্তুতি নিতে থাকেন। তবে মুগাবের মধ্যমপন্থি এবং শান্তিপূর্ণ বক্তব্য তার অনেক সমর্থককেই সে-সময় আশ্বস্ত করেছিল। সে-সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে বিরোধীদের নির্যাতন করা হবে না এবং ব্যক্তিগত সম্পদকে রাষ্ট্রের দখলে নেওয়া হবে না। তিনি দাবি করেছিলেন তার রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্যই হবে বন্ধুবৎসলতার প্রসার। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বাধীন জিম্বাবুয়ের দায়িত্ব নেওয়ার সময়েই মুগাবে কথা দেন রাজতন্ত্র ও ঔপনিবেশিকতার শাসনে থাকা অঞ্চলটিকে গণতন্ত্রের আওতায় আনার। এমনকি বিদেশি বিনিয়োগ আনতে উদগ্রীব নতুন রাষ্ট্রের নবগঠিত সরকার ঘোষণা করল, শ্বেতাঙ্গ কৃষকরা নতুন জিম্বাবুয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
১৯৬০-এর দশকে মুগাবের সঙ্গে জেল খেটেছেন নানগাগওয়া। ১৯৭০-এর দশকে তিনি মুগাবের ব্যক্তিগত সহকারী হন। তবে বার্ধক্যের ভারে ন্যুয়েপড়া মুগাবে তার শেষ জীবনে স্ত্রী গ্রেসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন এবং তার কথামতোই চলছিলেন। এ নিয়ে জানু-পিএফ পার্টিতে বিভেদ সৃষ্টি হয়।
মুগাবে ধীরে ধীরে তার রাজনৈতিক বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করেছিলেন। জিম্বাবুয়ের মুক্তিসংগ্রামের আরেক সেনানী জশুয়া এনকোমোর নেতৃত্বে বিদ্রোহ শুরু হলে নির্মমভাবে দমন করেন। ২০ হাজার বাসিন্দাকে হত্যার অভিযোগ সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবিধানে বদল এনে প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়া, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অর্থনৈতিক সমস্যা সামলাতে না পারার অভিযোগে ব্রিটিশ কমনওয়েলথ থেকে জিম্বাবুয়েকে সাসপেন্ড করা হয়। মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব চরমে, সব মিলিয়ে চূড়ান্ত আর্থিক দুর্দশা একের পর এক ভোটে বিতর্কিত জয়, তার নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। জিম্বাবুয়ের উৎকৃষ্টমানের ভ‚মির দখল রাখা সাড়ে ৪ হাজার শ্বেতাঙ্গ কৃষকের হাত থেকে জমির মালিকানা পুনর্বিন্যাস করা ছিল তার ভূমিনীতির প্রধান লক্ষ্য। বিদেশি বিনিয়োগ জিম্বাবুয়ের কৃষি খাত প্রায় ধ্বংসের মুখে যাওয়ার কারণে মুগাবের সমালোচকরা তাকে দোষারোপ করেন। সমালোচকদের দাবি ছিল, জমির মালিকানা পুনর্বিন্যাস করার পর গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে তা হস্তান্তর করার বদলে নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের সে-সবের দায়িত্ব দেন তিনি।
২০০০ সালে গণভোটে মুগাবে পরাজিত হন। এটি ছিল তার জীবনে প্রথম হার। কিন্তু নিজস্ব মিলিশিয়া বাহিনী মাঠে নামিয়ে নির্বাচনী সহিসংতা ও হত্যাকাণ্ড চালিয়ে জবরদস্তি জয় নিশ্চিত করেন। আট বছর পর ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী মরগানের কাছে হারার পরও তিনি গেরিলাযুদ্ধের কায়দায় নিজস্ব মিলিশিয়াদের মাঠে নামিয়ে দেন এবং দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয়ী হন। অর্থাৎ তার একমাত্র লক্ষ্য, যে কোনো মূল্যে ক্ষমতা ধরে রাখা। নির্বাচনে ব্যাপক আকারের ভোটচুরির অভিযোগে মুগাবের তীব্র নিন্দা করে ২০০২ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের কমনওয়েলথ সদস্যপদ সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। রাজনৈতিক বিরোধীদের সাথে দ্বন্দ্ব ২০০৮-এর মার্চে প্রথম দফা নির্বাচনে হারলেও জুনে দ্বিতীয় দফায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী মি. সভাঙ্গিরাই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলে আবারও নির্বাচিত হন তিনি। মি. সভাঙ্গিরাইয়ের সমর্থকদের ওপর হামলা নির্যাতন অব্যাহত থাকায় কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে দাবি করে আসছিলেন তিনি। ফেব্রুয়ারি ২০০৯-এ মি. সভাঙ্গিরাইকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করান মুগাবে। তবে মি. সভাঙ্গিরাইয়ের সমর্থকরা তখনও নির্যাতন এবং হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। ২০০৮ সালে বিরোধী দল এমডিসি’র সমর্থকরা হামলার শিকার হন। সহিংসতা এবং জালিয়াতির অভিযোগ থাকায় সে-সময় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঐ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্যতা দেয়নি। তারপর থেকেই মুগাবে এবং জিম্বাবুয়ে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে শুরু করে। এর মাঝে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে থাকে ব্যাপকভাবে। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এত বেশি পরিমাণে নোট ছাপিয়ে ফেলে যে, জিম্বাবুয়ান ডলারের দাম অতিরিক্ত কমে তীব্র মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়।
২০১৩ সালে আবারও ৬১ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মুগাবে, যার ফলে আবারও এককভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে মুগাবের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ধারণা করা হতে থাকে যে তার মৃত্যুর পর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবেন তার স্ত্রী গ্রেস মুগাবে। ২০১৫ সালে রবার্ট মুগাবে ঘোষণা করেন যে, ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, যখন তার বয়স হওয়ার কথা ৯৪। যিনি ২০১৬-এ বলেছিলেন, শুধুমাত্র ঈশ্বর তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে। সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি যুক্তরাজ্যের কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের আদালত সমলিঙ্গ বিয়ের বৈধতা দেওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্টে বারাক ওবামার সমালোচনা করে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। মুগাবে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের ওই রায়কে বলেছেন ‘উদ্ভট’। মুগাবে দেশের অর্থনৈতিক দুর্গতির জন্য সব সময় যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর ষড়যন্ত্রকে দায়ী করেছেন। তিনি বারবার অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমারা তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। তিনি তার নিজস্ব তত্ত্বের ওপর অনড় থেকে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করেন; কিন্তু ব্যর্থ হন।
২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর রবার্ট মুগাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণতন্ত্রের প্রতি ‘চরম অবজ্ঞা’র অভিযোগ আনলে মুগাবে ১৯৯৪ সালে পাওয়া সম্মানসূচক নাইট খেতাব ফিরিয়ে দেন। রানি এলিজাবেথ এই খেতাব বাতিল অনুমোদন করেন। তবে অনেকের চোখেই এরপরও হিরো ছিলেন মুগাবে। ২০১৫ সালের শেষ দিকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিকল্প চীনের কনফুসিয়াস শান্তি পুরস্কার পান তিনি। অনুপ্রেরণামূলক জাতীয় নেতৃত্বের কারণে তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয় বলে জানায় নির্বাচক কমিটি। ২০১৭ সালে সাবেক মিত্র মানগাগওয়াকে বরখাস্তের পর সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুগাবে সরকারের পতন ঘটে। তবে, তার আগেই পদত্যাগের শর্ত হিসেবে নিজের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। গত ৬ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৯৫ বছর বয়সী জিম্বাবুয়ের জাতির জনক রবার্ট মুগাবে। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ নেতারা। এ দিন সেই প্রেসিডেন্টই টুইটে লিখলেন, ‘কমরেড মুগাবে গোটা আফ্রিকা ও তাঁর বাসিন্দাদের মুক্তি ও ক্ষমতায়নের জন্য আজীবন লড়ে গিয়েছেন। দেশ ও তামাম মহাদেশের ইতিহাসে ওর অবদান ভোলার নয়। কট্টর মুগাবে বিরোধীরাও এ দিন মেনে নিয়েছেন, জিম্বাবুয়ের গঠনে বলিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গের অবদান ভোলার নয়। জিম্বাবুয়ে মানে মুগাবে, মুগাবে মানে জিম্বাবুয়ে। এবার তার সমাপ্তি হলো।’
‘জিম্বাবুয়ে মানে মুগাবে : মুগাবে মানে জিম্বাবুয়ে’
আরও পড়ুন