ফারুক শাহ:
বাপ-দাদার পথ ধরে মহিষের গাড়িতে চড়ে বিয়ে
ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল মহিষের গাড়িতে বিয়ে করতে যাওয়ার। কারণ তার বাপ-দাদাও বিয়ে করতে গেছেন মহিষের গাড়িতে চড়ে। এবার সেই পথ অনুসরণ করে মহিষের গাড়িতে চড়ে বরবেশে কনের বাড়িতে গেলেন উমর ফারুক (২৯) নামের এক যুবক। গত ১৮ নভেম্বর রাতে মহিষের গাড়িতে চড়ে তিনি হাজির হন কনের বাড়িতে। পরে সেখানেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। উমর ফারুক কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদরের চন্দ্রখানা মুসুল্লিপাড়া গ্রামের কৃষক ফজলুল হকের ছেলে। তিনি পেশায় উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার। ঘটক রাজু বলেন, আমি অভিভূত। এখন আর গরুর বা মহিষের গাড়িতে চড়ে কেউ বিয়ে করে না। ফুল দিয়ে সাজানো মহিষের গাড়িতে বরকে পেয়ে অনেকেই সেলফি তুলেছেন।
মুন্সিগঞ্জের ২১ গ্রাম সিসি ক্যামেরার আওতায়
প্রথমবারের মতো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় এলো মুন্সিগঞ্জের বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের ২১টি গ্রাম। ইউনিয়নটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে ১৬টি ক্যামেরা। চলছে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং। এছাড়া সড়কে ১০০টিরও বেশি এলইডি বাতি লাগানো হয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসূল এর উদ্বোধন করেন। সিসি ক্যামেরা মাদক, চুরি-ছিনতাই ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কাতারের স্টেডিয়ামের আদলে ফরিদপুরে এক মাঠেই ৮ স্টেডিয়াম
গোটাবিশ্বের সঙ্গে এক মাসের এ রোমাঞ্চে পিছিয়ে নেই ফরিদপুরের বাসিন্দারাও। কাতারের ফুটবল বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামের আদলে ফরিদপুরেও তৈরি করা হয়েছে ৮টি স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপের উত্তাপ বাড়াতে ফরিদপুর পৌর এলাকার ভাজনডাঙ্গায় টিবি হাসপাতালের পাশে একটি মাঠে তৈরি করা হয়েছে ৮টি স্টেডিয়াম। কাতারে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের খেলাগুলো যে ৮টি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে, সেই আদলেই তৈরি করা হয়েছে স্টেডিয়ামগুলো। এই উদ্যোগ নিয়েছেন কাতার প্রবাসী মাসুদুর রহমান। মাসুদুর রহমান দীর্ঘ ১০ বছর কাতারে রয়েছেন। তিনি নিজস্ব অর্থায়নে স্থানীয় তরুণদের সঙ্গে নিয়ে স্টেডিয়ামের কাজ শুরু করেন। একইসঙ্গে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ৩২ দলের পতাকা আছে মাঠে। খেলা চলাকালীন বড় পর্দায় দেখানো হচ্ছে সব খেলা। অন্য এলাকা থেকে যারা খেলা দেখতে আসবেন, তাদের জন্য মাঠের পাশেই বিভিন্ন বাসাবাড়িতে বলা হয়েছে থাকতে দেওয়ার জন্য।
সিনেমা নয়, মধুমিতা হলে বিশ্বকাপ
ঢাকা শহরের অন্যতম প্রাচীন সিনেমা হলগুলোর একটি মধুমিতা। ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রেক্ষাগৃহে এখনও প্রদর্শিত হয় নতুন নতুন সিনেমা। কিন্তু এবার সিনেমা নয়, বিশ্বকাপ ফুটবলের উন্মাদনায় এই প্রেক্ষাগৃহে চলছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ম্যাচ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনেমা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ। তিনি বলেন, বিশ্বকাপ ফুটবল চলছে। মানুষ তো ফুটবলের জন্য পাগল। ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ম্যাচ চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমরাও ভাবলাম এ-সময়টা ছবি বন্ধ রেখে কাতার বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ম্যাচ চালাব। ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ফাইনাল খেলাটি দেখিয়েছিল মধুমিতা। সেবার তারাই প্রথম মধুমিতায় ওয়ার্ল্ড কাপ দেখিয়েছে। শুধু তাই নয়, হলের মধ্যে মানুষের জায়গা দিতে গিয়েও হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের। একসঙ্গে ১ হাজার ২০০ দর্শক উপভোগ করতে পারবেন খেলা।