রাজিয়া সুলতানা
কনকনে ঠাণ্ডা, বইছে শৈত্যপ্রবাহ, ঘন কুয়াশায় সড়কে-মহাসড়কে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। এর মধ্যে হঠাৎ সমস্ত আকাশ কালো করে ধুম বৃষ্টি, যা কৃষি ফসলের জন্য মোটেও কাক্সিক্ষত নয়। কারণ মাঠে এখন রবি শস্য। ফসলের ক্ষেতের শোভাবর্ধন করছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, সরষে, শিম, লাউ ইত্যাদি। জলমগ্নতা এসব ফসল একেবারেই সহ্য করতে পারে না। দেশের যখন এ অবস্থা তখন কথা হলো ফরিদপুর নিবাসী জলিল উদ্দিনের সাথে। পেশায় কৃষক। বর্গাচাষি। তিনি এবার চাষ করেছেন টমেটো। বুকভরা আসা নিয়ে চাষ করেছিলেন; কিন্তু তার কথায় এখন হতাশার সুর। তিনি বললেন, ‘আমি যে জমিতে টমেটো চাষ করেছি তা নিচু জমি। ফলে দেরিতে টমেটোর চারা রোপন করতে হয়েছে। আগাম বাজার ধরতে পারিনি। আর এখন হয়ে গেল বৃষ্টি। জমি ভিজা। টমেটো পেকে এসেছে। ফসল তুলতে গিয়ে দেখি জমির বেশিরভাগ টমেটোই গাছে পচে যাচ্ছে। আর যে টমেটোগুলো এখনও ভালো আছে, তা তুলে ফেলেছি। কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে দেখি সে এক বেহাল অবস্থা। আমার কেজিপ্রতি যে খরচ হয়েছে, পাইকাররা তার চেয়েও কম দাম বলছে। এখন মনে হচ্ছে, ফসল না তুলে জমিতে ফেলে রাখলেই ভালো করতাম। এমনিতেই বীজ, সার, কীটনাশকের জোগান দিতে ধার-কর্জে ডুবে গেছি। তার ওপর ফসল তোলার খরচ। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।’
এ চিত্র শুধু ফরিদপুরের জলিল উদ্দিনের নয়। এটা দেশের সার্বিক চিত্র। একজন কৃষক তার সামর্থ্য অনুযায়ী রবি ও খরিফ মৌসুমে শস্য উৎপাদন করে। কখনও সরকার হতে সাহায্য পায়, কখনও বা পায় না। আশায় বুক বেঁধে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সাথে নিয়ে শত বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে ফসল উৎপাদন করে। সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পাহাড়িয়া এলাকা থেকে শুরু করে জলমগ্ন ও লবণাক্ত জমিতে আশাতীত ফসল হচ্ছে। কিন্তু কৃষকের ভাগ্যের চাকা তো আমরা ঘুরতে দেখছি না। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘কৃষক বাঁচলে আমরা বাঁচবো।’ এটা কেমন বাঁচা, যাতে ফসলের উৎপাদন খরচই ওঠে না? অন্যদিকে ভোক্তা সাধারণের পণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস। সুতরাং দেখাই যাচ্ছে, প্রান্তিক কৃষকের প্রাপ্ত মূল্য আর খুচরা মূল্যের মধ্যে বিস্তর ফারাক। আর এ ফারাকটা সৃষ্টি করছে ফড়িয়া ও মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ী চক্র। তারা একজোট হয়ে কাজ করছে। কৃষকের যখন ফসল ওঠে তখন তারা একটা দাম বেঁধে দেয়। কৃষকেরও মার্কেট যাচাই করার সুযোগ থাকে না। তারা দূর-দুরান্তের বাজার ধরতে পারে না। দরদাম করতে পারে না। ফসলও আটকে রাখতে পারে না। কারণ অনেক ফসলই পচনশীল। সঠিক সময়ে বিক্রি না করলে পচে যাবে। অগ্যতা নির্দিষ্ট দামেই কৃষকরা পণ্য ছেড়ে দেয়। কৃষকরা অসহায়। তারা মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। তাই তো যে ফুলকপি আমরা সময়বিশেষে ৩০-৫০ টাকা দরে কেনে, ক্ষেত্রবিশেষে কৃষক সেটি ২-৭ টাকা দরেও বিক্রি করতে বাধ্য হয়। রবি মৌসুমে চারদিকে আলুতে যখন সয়লাব তখন কৃষকরা পাইকার বা ফড়িয়াদের কাছে ৫ টাকা কেজি আলু বিক্রি করতে বাধ্য হয়। পাইকাররা এই আলু কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করে। আলু উৎপাদনের তুলনায় কোল্ড স্টোরেজের সংখ্যা কম। তাই আমাদের দেশে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ আলু কোল্ড স্টোরেজে জায়গা হয় না। আর তখনই পাইকাররা আলু কেনা বন্ধ করে দেয়। তখন মাঠে সৃষ্টি হয় এক বিভীষিকাময় চিত্র। মাঠের পর মাঠ আলু বস্তাবন্দি হয়ে পড়ে থাকে। কিন্তু ভোক্তাদের ক্ষেত্রে অন্য চিত্র। ক্রেতা সাধারণ সেই আলু খাচ্ছে ২০-৩০ টাকা কেজি দরে। মনে পড়ে গেল আমার কৃষিবিদ বন্ধু নজরুল ইসলামের কথা। পেশায় ব্যাংকার। গিয়েছে বাজার করতে। আলু ৩০ টাকা কেজি, টমেটো ৪০ টাকা কেজি, পিঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি আর যখন লাউ কিনতে গেল তখন দেখল একটি লাউ ৮০ টাকা। যেহেতু কৃষিবিদ কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচের একটা ধারণা তার ছিল। সে জানে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী উৎপাদন খরচ কেজিপ্রতি আলুর ৮.৩২ টাকা, পেঁয়াজের খরচ ১৯.২৪ টাকা, রসুনের ৩০.৮৭ টাকা, মরিচের ১৯ টাকা, সরষে ৩৩.৮৪ টাকা এবং মসুর ডালের ৪০.৩২ টাকা, লাউয়ের ৫-৭ টাকা। দেখল উৎপাদন খরচ আর খুচরা বাজারের দামের মধ্যে অনেক ফারাক। ভাবলো ব্যাংকে চাকরি করে আর কয় টাকা বেতন পাই; বরং গ্রামে গিয়ে পড়াশোনার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে চাষাবাদ করি। যেই ভাবা সেই কাজ। চাকরি ছেড়ে দিল। পুরোদস্তুর কৃষক হয়ে গেল। চাষাবাদ শুরু করে দিল। কৃষি অফিসেরও সাহায্য পেল। কৃষি উপকরণের যেমনÑ সার, বীজ, কীটনাশকের সাহায্য পেল সরকারের তরফ হতে। বাম্পার ফলন হলো। সিদ্ধান্ত নিল কোনো ফড়িয়া নয়, নয় কোনো পাইকার। নিজেই মার্কেটিং করবে। জমি থেকে ফসল তুলে ট্রাকভর্তি করে রওনা দিল শহরের দিকে। রাস্তায় রাস্তায় এ কী অবস্থা? বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য। যা হোক, সব কিছু মোকাবিলা করে ট্রাক এলো আড়তে। সেখানেও ট্রাক রাখতে দেওয়া হবে না। দিতে হবে বখরা। এরপর বাজারের যে অবস্থা, তা তো আরও খারাপ! এখানে সবাই একজোট। যেখানে খুচরা বাজারে একটা লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় এখানে সেটি ১৫ টাকায় নিতেও নারাজ। অগত্যা এখান থেকে বিদায় নিয়ে অন্য আড়ৎ। ওখানেও একই অবস্থা। বিভিন্ন আড়ৎ ঘুরে তার অবস্থা বেহাল। এদিকে সবজি তার জৌলুস হারাচ্ছে। শুকিয়ে যাচ্ছে। আর একটু সময় পার হলে সব ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। তাই নজরুল সাহেব সিদ্ধান্ত নিল ফার্মগেটে ট্রাক রেখে রাস্তার ক্রেতাদের কাছে সবজি বিক্রি করবেন। সে-যাত্রায় কোনোরকমে রক্ষা পেল। কোনোরকমে তার উৎপাদন খরচ উঠাতে পারল। অগত্যা সে আবার তার পুরনো পেশায় ফিরে গেল। তবে এবার আর ব্যাংকে নয়। ওষুধ কোম্পানিতে।
আমরা দেখতে পেলাম, কৃষক ফসল উৎপাদন করছে অত্যন্ত আন্তরিকতা নিয়ে। কৃষি বিভাগের কর্মীরাও অনেক শ্রম ও সময় ব্যয় করছে মাঠ পর্যায়ে। অনুদান দিচ্ছে সরকার। এক ফসলি জমি তিন ফসলি হচ্ছে। কোনো জমি ফাঁকা থাকছে না। একর প্রতি ফলন বেড়েছে। তাহলে এখন আমাদের দেখার বিষয়, কৃষক ও ভোক্তারা ন্যায্য দাম কেন পাচ্ছে না? কৃষক কর্তৃক প্রাপ্ত মূল্য আর খুচরা মূল্যের মধ্যে এত ফারাক কেন? তার মানে বাজারটা দখল করে আছে সিন্ডিকেট তৃতীয় শক্তি। কৃষিমন্ত্রীর চোখে বিষয়টি পড়েছে। তিনি বলছেন, ‘মাঠ পর্যায়ে যে ফসল কৃষকরা ১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করেন, ঢাকায় এসে সেই ফসলের দাম ৪০-৪৫ টাকা কেজি কেন হবে? মধ্যস্বত্বভোগী, ফড়িয়া সারা পৃথিবীতেই আছে; কিন্তু এত দামের ফারাক হবে কেন? পরিবহনে চাঁদাবাজিসহ অনেক অপ্রত্যাশিত খরচ আছে। একটি ট্রাকের মাঠ পর্যায় থেকে ঢাকা পৌঁছা পর্যন্ত কত খরচ হয়, কোথায় কোথায় খরচ হয়, তা খুঁজে বের করতে জেলা প্রশাসক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও কৃষি মন্ত্রণালয় মিলে স্ট্যাডি করবে। স্ট্যাডির মাধ্যমে প্রাপ্ত সমস্যা নিরসনে জাতীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
যাই বলি না কেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ বাংলাদেশ। আগাম বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, অতি বৃষ্টি, খরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে সব সময় জমির ফসল এক রকম হয় না। পিঁয়াজের কথায় আসি। এবার পিঁয়াজ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে। কিন্তু বেশি দিন আগের কথা নয়, এই পিঁয়াজ কিনেছি ২৫০-৩০০ টাকা কেজিতে। বাজার কিন্তু একটাই। এই যে দরের মধ্যে বিস্তর ফারাক, কারণটা ছিল অতি বৃষ্টি। মাঠেই অনেক পিঁয়াজ পচে গেল। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেরও একই অবস্থা। সরকার সংকট নিরসনে এলসি খুলে দিল। সবাই একসাথে পিঁয়াজ আমদানি শুরু করে দিল। পিঁয়াজ আসতে সময় লাগে। যখন পিঁয়াজ আসা শুরু করল তখন আবার আমাদের দেশীয় পিঁয়াজ উঠে গেছে। ফলে আমাদের দেশের কৃষকরা পেল না কাক্সিক্ষত দাম। অন্যদিকে আমদানিকারকরা বিপাকে। এ জন্য বাজার মনিটরিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।
`মাঠ পর্যায়ে যে ফসল কৃষকরা ১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করেন, ঢাকায় এসে সেই ফসলের দাম ৪০-৪৫ টাকা কেজি কেন হবে? মধ্যস্বত্বভোগী, ফড়িয়া সারা পৃথিবীতেই আছে; কিন্তু এত দামের ফারাক হবে কেন? পরিবহনে চাঁদাবাজিসহ অনেক অপ্রত্যাশিত খরচ আছে।’
শেরে বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন এম চৌধুরীর মতে, ‘সরকারকে সব সময় সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ও বাফারিং স্টোকের দিকে সর্বোচ্চ নজরদারি রাখতে হবে।’ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে সাপ্লাই চেইনের সার্বিক তত্ত্বাবধান। অর্থাৎ, একটি প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের উৎপাদন থেকে শুরু করে তা কাস্টমারের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া। আর বাফার স্টোক হলো পণ্যের সেই পরিমাণ মজুদ, যাতে যে কোনো পরিস্থিতিতে সরকার জনগণকে ঐ পণ্যের জোগান দিতে পারে। এই দুয়ের সমন্বয় হলে দেশকে হঠাৎ তেমন কোনো বিপাকে পড়তে হবে না।
বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে, কৃষক চাচ্ছে ন্যায্য মূল্য, ভোক্তা চাচ্ছে কম মূল্য আর ব্যবসায়ীরা চাচ্ছে বেশি লাভ। তবে কৃষি বাজারকে সচল রাখার জন্য কৃষক, ফড়িয়া, আড়ৎদার, খুচরা ব্যবসায়ী সবই থাকতে হবে। তবে সরকারকে সবার স্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। সরকারকে পণ্যগুলোর একটি ন্যূনতম দাম ঠিক করে দিতে হবে। যা সুরক্ষা দেবে কৃষককে। জীবন সহজ করবে ভোক্তা সাধারণকে। কৃষকদেরও সংগঠিত করতে হবে। সংগঠন বা সমবায় সমিতি গড়ে তুলতে হবে। আর সরকারকে বাড়াতে হবে সংরক্ষণাগার। তাছাড়া উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশও আজ ডিজিটালাইজেশনের সকল সুবিধা ভোগ করছে। তাই সরকার ধান-চাল যে রকম অ্যাপের মাধ্যমে কেনে তেমনি কৃষিপণ্যও কেনার জন্যও অ্যাপ চালু করেছে। কারণ সরকার অনুধাবন করেছে যে কৃষিপণ্য উৎপাদনের চেয়ে, কৃষিপণ্যের বিপণনই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অ্যাপটির নাম ‘সদাই’। বাস্তবায়নে আছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। আর সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ৪ আগস্ট ২০২১, কৃষিমন্ত্রী ‘সদাই’ অ্যাপটির উদ্বোধন করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘কৃষিপণ্য কেনাবেচায় “সদাই” অ্যাপটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ অ্যাপটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশের কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস, কৃষিপণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতে কাজ করবে। একইসাথে, ভোক্তাররা যাতে না ঠকে, প্রতারণার শিকার না হয় এবং নিরাপদ ও ভেজালমুক্ত পণ্য পায়, তাতে অ্যাপটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
মোদ্দাকথা হলো, কৃষকদের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে আমরা যে যে বিষয়ে নজর দিতে পারি, তা হলোÑ উৎপাদন খরচ কমানো, ব্যবসায়ী আর কৃষকদের মাঝে যোগাযোগ স্থাপনে সরকারের হস্তক্ষেপ, মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেট ভাঙা, কৃষক-গবেষক-সম্প্রসারণ কর্মী-ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংযোগ সাধন, কৃষির আধুনিক বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা, নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা, কৃষিপণ্যের বিকল্প ব্যবহার, উদ্বৃতাংশ রপ্তানি করা, কৃষি সংগঠন তৈরি, সমবায়ভিত্তিক মার্কেটিং, কৃষকদের বৃহৎ বাজারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ, মিডিয়াতে বাজার তথ্য সম্প্রচার, পণ্য পরিবহনকালীন চাঁদা বন্ধকরণ, অপচয় কমানো, প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতকরণ, প্রান্তিক পর্যায়ে কালেকশন সেন্টার স্থাপন, ইউনিয়ন পর্যায়ে বিপণন সেবা চালুকরণ, উপজেলা পর্যায়ে সংরক্ষণাগার স্থাপন, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা বাড়ানো, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচা নিশ্চিতকরণ।
লেখক : শিক্ষক, পিএইচডি গবেষক, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা
raziasultana.sau52@gmail.com