কাজী বর্ণ উত্তম: স্বাস্থ্য পণ্য নয়, মানুষের অধিকার- এই দাবি নতুন করে উত্থাপনে ভূমিকা রাখতে পৃথিবীর মানুষকে শিক্ষা দিচ্ছে করোনা গোত্রের ভাইরাস কোভিড-১৯।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় কোন কোন দেশ সফল এবং কেন? তা থেকে বাংলাদেশ আরও বেশি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। করোনা মোকাবিলায় প্রশংসিত হচ্ছে সেøাভেনিয়া, গ্রিস, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম, ভারতের ছোট রাজ্য কেরালাসহ বেশ কিছু দেশ। বহু দেশকে উল্টো সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রশংসিত হচ্ছে ছোট্ট দেশ কিউবা। সমাজতান্ত্রিক দেশ কিউবা সম্পর্কে অনেকেই খবরাখবর রাখেন। আর বিভিন্ন দেশে কিউবার ডাক্তার পাঠানোর খবরটা বেশ ভাইরাল হয়েছে। পৃথিবীর সকল দেশের অবস্থা এক লেখায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়, তারপরও এক লাইনে উল্লেখ করিÑ করোনাকালে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলাদেশসহ তারাই মোটামুটি ভালো করেছে যেসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা তার নাগরিকের প্রতি মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জুড়ি নেই। করোনাভাইরাস কবলিত এই দুঃসময়ে মানবিক নেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের পাশে থাকছেন।
আজকের আলোচনায় আনতে চাই জাপান ও গ্রিসের অভিজ্ঞতা এবং সেই অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের জন্য আগামীর ভাবনাও খুঁজে বের করার চেষ্টা।
জাপান উন্নত দেশ, চলুন দেখা যাক তার পরিস্থিতি-
জাপানের প্রত্যেক নাগরিককে বছরে একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। এ কাজটি করা হয় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বাস্থ্য ক্লিনিকে। চিকিৎসার যন্ত্রাংশ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার সন্তোষজনক। সার্স ভাইরাস মোকাবিলার পূর্ব অভিজ্ঞতাও ছিল। জাপানের সব নাগরিক স্বাস্থ্য ইন্স্যুরেন্সের আওতাধীন। জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনায় জাপান কম খরচে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে, যেমনÑ কার কী কী পরীক্ষা করা দরকার, কখন করা দরকার, কতবার করা দরকার, সব কিছুই আগে থেকে তৈরি করে। করোনা মহামারি মোকাবিলায় জাপান পৃথিবীর আর দশটা দেশের মতোই কোয়ারেন্টাইন চালু করে। জনগণ কত সচেতন হলে এর জন্য কোনো পুলিশ নামাতে হয়নি, শোনা যায়নি লাঠির আওয়াজও।
জাপান করোনা প্রতিরোধে সংক্রামক রোগের বিশেষজ্ঞ, গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, মানসিক বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী ও সমাজবিজ্ঞানীদের নিয়ে ১২ সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করে। করোনার চিকিৎসায় পিসিআর (পলিমারেজ চেইন রি-অ্যাকশন) পরীক্ষার জন্য পরিকল্পনা নেয়, টেস্ট বা পরীক্ষা করো, ট্রেস বা চিহ্নিত করো, ট্রিট বা চিকিৎসা করো মডেলে। কোন উপসর্গ কতটুকু থাকলে কী চিকিৎসা দেওয়া হবে, কেবলমাত্র যাদের করোনা উপসর্গ আছে এবং ইন্টারনাল মেডিসিনের ডাক্তারের পরামর্শ আছে অথবা যারা কোনো করোনা রোগীর কাছে ছিলেন, তাদের পিসিআর টেস্ট করানো হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো অর্থ ব্যয় করে সবাইকে টেস্ট করেনি জাপান। এখানে উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২ শতাংশ লোক করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা টেস্ট করানো হয় শতভাগ মানুষকে। আবার একবার টেস্ট করলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে না তিনি আর আক্রান্ত হবেন না, বিষয়টা এমনও নয়।
জাপানে করোনা রোগী শনাক্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি হতেই হবে। এটি বাধ্যতামূলক। চিকিৎসা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বের হওয়ার নিয়ম নেই। জাপানে শুধু করোনার জন্য বেডের সংখ্যা ৩১,২৮৯। ৪৭টি জেলার মধ্যে শুধু ৩টি জেলা (ইওয়াতে, ওয়াকায়ামা আর নাগাসাকি) ছাড়া সব জেলায় করোনার জন্য ডেডিকেটেড বেড ক্যাপাসিটি (আইসিইউ বলতে পারেন) রয়েছে ৭ হাজার ৯৩৪টি। সবচেয়ে বেশি আছে টোকিওতে (২ হাজার ৮৬৫টি)। আর সবচেয়ে কম আছে আকিতা আর কোচি জেলায় (১৬টি)। তাছাড়া, ৮টি জায়গায় নতুন করে তৈরি হয়েছে ১০ হাজার ৩২০টি বেড। যার এখন পর্যন্ত বড় অংশ ব্যবহৃত হয়নি। কিছু মিডিয়া ভুল ও বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা দিয়েছে। ‘জাপানের মেডিকেল সিস্টেম কলাপস করেছে’Ñ এমন সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, যা বোধহয় বিতর্কিত। বরং অনলাইন ব্যবস্থাপনায় রোগীর কাছে পৌঁছে যাচ্ছে পরিসেবা। জানুয়ারি থেকে জাপানে সংক্রমণ শুরু, ২৭ মে পর্যন্ত আক্রান্ত ১৬ হাজার ৬৫১ জন, মৃত্যু ৮৫৮ জন, সুস্থ হয়েছে ১৩ হাজার ৯৭৩ জন।
করোনা মোকাবিলায় জাপানের সংস্কৃতি জাপানকে সাহায্য করেছে। জাপানিরা সাধারণত ইউরোপ আমেরিকার মতো কোলাকুলি বা হ্যান্ডশেক করে না। দূর থেকে বাউ করে। কিছুটা দূরত্ব আগে থেকেই বজায় ছিল। জাপানের যে কোনো রেস্টুরেন্টে যান, আপনাকে প্রথমেই একটা ভেজা টাওয়েল দেবে হাত মোছার জন্য। এটা বাধ্যতামূলক। কিছু কিছু শপিংমল, রেস্টুরেন্ট, পাবলিক টয়লেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা থাকে। তাছাড়া, টয়লেটের বেসিনগুলোর ট্যাপ অধিকাংশই স্পর্শহীন সেন্সরে চলে। শীতকালে জাপানে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা অ্যালার্জির কারণে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ প্রায় সবাই মাস্ক ব্যবহার করে আগে থেকেই।
এবার চলুন গ্রিসের দিকে। গ্রিসে ১০ বছর ধরে বাজেট কমতে কমতে সব সেক্টরের মতো স্বাস্থ্য খাতও খুব দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই তারা প্রথম থেকেই প্রতিরোধের দিকে গিয়েছে। জানুয়ারিতেই এয়ারপোর্টে স্ক্রিনিং শুরু করেছে। চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো পরীক্ষা করা শুরু করেছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে কার্নিভাল অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে ১০ মার্চ থেকে। ২৩ মার্চ থেকে লকডাউন। খুব কড়া লকডাউন। বাইরে বের হওয়ার আগে কেন যাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে লিখে একটা নম্বরে এসএমএস করে তারপর বের হতে হবে। বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হলে ১৫০ ইউরো জরিমানা। একটি গাড়িতে ড্রাইভারের সাথে মাত্র একজন, মানে মোট দুজন চলতে পারবে। বিনা অনুমতিতে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা অফিস খুললে জরিমানা। রেস্টুরেন্ট বন্ধ, শুধু বাড়ি বাড়ি ডেলিভারি চালু আছে।
সকল সরকারি অফিস বন্ধ, শুধু চালু আছে একটা ডিজিটাল গভর্নেন্স পোর্টাল। জরুরি সিদ্ধান্তের জন্য মন্ত্রীদের মোবাইলে ডিজিটাল সিগনেচার দিয়েছে। অনলাইন ডিজিটাল পোর্টালে তারা চিকিৎসা-ব্যবস্থা যুক্ত করেছে। কে কোথায় আক্রান্ত হচ্ছে, কোথায় কী যন্ত্রপাতি আছে, সেটা ডিজিটাল পোর্টালে তথ্য যুক্ত আছে, যা থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারছে। প্রত্যেকের ট্যাক্স নম্বরের সাথে মেডিকেল সিস্টেম যুক্ত করেছে। তাই ডাক্তারের কাছে না গিয়েও ডাক্তারকে মোবাইলে জানালেই ডাক্তার অনলাইনে প্রেসক্রিপশন আপলোড করে দিচ্ছে। ডাক্তারের ফি ট্যাক্স নম্বর থেকে অটো কেটে নিচ্ছে। ওষুধের দোকানে ট্যাক্স নম্বর দিলেই দোকানদার প্রেসক্রিপশন দেখে ওষুধ দিয়ে দিতে পারে, ওষুধের দামও ট্যাক্স নম্বর থেকে যায়। এই অনলাইন ব্যবস্থা চিকিৎসাসেবাকে দ্রুত করেছে। দ্রুত খবর পাচ্ছে, দ্রুত কোয়ারেন্টাইন হচ্ছে, প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে নিতে পারছে। গ্রিক সরকার বলছে, এই অনলাইন প্লাটফর্মে ডিজিটাল পথে তারা করোনা মোকাবিলা করছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত গ্রিসে করোনা আক্রান্ত ২ হাজার ৯০৩ জন, মৃত্যু ১৭৩ জন, সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৩৭৪ জন। গ্রিসে সরকার সফল, কারণ মানুষ ঘরে থাকছে। মানুষ কেন মানছে? টানা ১০ বছর অর্থনৈতিক সংকটে তারা দেখেছে, সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি না করলে, জীবনে কী ভয়াবহ দুর্যোগ আসতে পারে। বাড়ি, গাড়ি, চাকরিÑ সব কয়েক মাসেই নাই হয়ে যেতে পারে। তাই মানুষও সরকারের কথা মেনে চলছে। গ্রিকরা অর্থোডক্স খ্রিষ্টান, খুবই গোরা। তাদের প্রধান উৎসব ইস্টার সানডে। তাদের বিশ্বাস এই সানডেতে যিশু পুনর্জন্ম নিয়েছে। খুব ঘটা করে তারা ইস্টার পালন করে। কিন্তু এ বছর ইস্টার পালন করছে ঘরোয়াভাবে। সরকারকে সাহায্য করেছেন প্রধান প্রধান পাদ্রিরা। চার্চের পাদ্রিরা ঘোষণা দিয়ে মানুষকে চার্চে না আসতে অনুরোধ করেছেন। মানুষ সে-কথা শুনেছে। করোনা মোকাবিলায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গ্রিক মডেল প্রশংসিত হচ্ছে। তবে এই গ্রিক মডেলের সবচেয়ে বড় দিক মানবিকতা।
দুটি দেশের অভিজ্ঞতা থেকে সহজ ভাষায় আমার প্রথম উপলব্ধিÑ রাষ্ট্র যখন তার নাগরিকের দায়-দায়িত্ব নেয় তখন মানুষও এগিয়ে আসে রাষ্ট্রের কথামতো। রাষ্ট্র নির্দেশিত পথেই, যা দেশের সার্বিক সফলতা নিশ্চিত করে। ভাইরাসের সংক্রমণের ইতিহাস বলে শত বছর পর হোক; এক বছর পর হোকÑ নানা রূপে নানা নামে নানান ভাইরাসের পৃথিবীতে আবির্ভাব হয়। মানুষ কৃষিতে জীবিকা নির্বাহের শুরু থেকেই বর্তমান সভ্যতা চলা শুরু। সভ্যতার বিকাশ আর ভাইরাসের ইতিহাসও সমান্তরালে। সুতরাং চলাফেরা সামাজিক সংস্কৃতি ও আপনাকে সহায়তা করে ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে, যা আমরা জাপানের অভিজ্ঞতা থেকে উপলব্ধি করলাম।
স্বাস্থ্য আর পণ্য নয়, স্বাস্থ্য অধিকারÑ এটাই বাংলাদেশের জন্য আগামীর চ্যালেঞ্জ। আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে যারা পরিকল্পনা করবেন, তাদের এখনই ভাবা উচিত কীভাবে দেশের সব মানুষকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় বাধ্যতামূলকভাবে আনা যায়। জাপান ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে সব নাগরিককে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়ে এসেছে। অন্যদিকে গ্রিস ট্যাক্স নম্বর ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসেবার আরও একটি মডেল তৈরি করেছে। বাংলাদেশের সকল মানুষ যেমন ইন্স্যুরেন্স খুলতে পারবে না; তেমনি সকলে ট্যাক্স দেওয়ার কর্মক্ষমতা নেই। এটা নিয়ে সবিস্তার গবেষণার দাবি রাখে। উদাহরণস্বরূপÑ সব মানুষকে ইন্স্যুরেন্স খুলতে যে গড় আয়ের প্রয়োজন; তা পূরণ করতে বাংলাদেশকে হয়তো আরও কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে। তবে আয়কর ফাইল খুলতে কিন্তু টাকা লাগে না, লাগে বার্ষিক ট্যাক্স। এই জায়গায় বর্তমান নীতিমালা সংস্কার করে বাংলাদেশের সব মানুষকে (বয়স নির্ধারণ হতে পারে) আয়কর ফাইল খুলতে উদ্বুদ্ধ করে কিছু মানুষের ট্যাক্স প্রয়োজনে সরকারই দেবে। ওটা ট্যাক্সধারীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য। ক, খ, গ, ঘ ইত্যাদি আয়ের ক্যাটাগরি করে; ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হারে ট্যাক্স নির্ধারণ; এভাবে নানা স্তরে গ্রিসের পদ্ধতি অবলম্বন করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ভূমিকা রাখতে পারবে। আগামীতে স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা পেলে বাংলাদেশে বর্তমানে আয়কর ফাইল ৫০ লাখ থেকে আনুমানিক ২-৩ কোটি হতে পারে, হয়তো তার মধ্যে ৫০ লাখ আয়কর ফাইলে ভর্তুকি প্রয়োজন। পাশাপাশি ধাপে ধাপে সব জেলায়, প্রাথমিকভাবে অন্তত পুরনো ২০টি জেলায় বা আরও বেশি স্থানে সব ধরনের চিকিৎসা যন্ত্রাংশ, পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স, হাসপাতালের বেড, আইসিইউ ইউনিটসহ এলাকাভিত্তিক স্বয়ংসম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা প্রয়োজন।
এই সময়কালে ৫০ লাখ দুস্থ পরিবারের তালিকা নিয়ে যে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হলো, এ-রকম ঘটনা থেকেও মুক্তির স্থায়ী সমাধানের পথ হতে পারে সবার আয়কর ফাইল। আমার লেখা পড়ে কেউ কেউ হয়তো মুচকি হাসি হাসতে শুরু করেছেন, একটু স্মরণে আনিÑ আওয়ামী লীগ সরকার যখন বাজেটে কৃষি খাতে ৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি ঘোষণা করেছিল; তখনও কেউ কেউ হয়তো মুচকি হাসি হেসেছিলেন। কিন্তু গৌরবের বিষয় হলো কৃষি খাতের ধারাবাহিক ভর্তুকিই বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে, যা করোনা মহামারির পর বিশ্বে খাদ্য সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে খাদ্যে সবচেয়ে কম ঝুঁকির সেরা ১০টি দেশের একটি বাংলাদেশ। বাংলাদেশে কৃষির মতো আরও একটি সম্পদ মানবসম্পদ, মানবিকতার পাশাপাশি আগামীর অর্থনৈতিক স্বার্থও জড়িত। নিশ্চয়ই বাংলাদেশের নীতি-নির্ধারকরা বিবেচনায় নেবেন ভাবনাগুলো।
জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনে দীর্ঘমেয়াদি ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করি।
লেখক : কলামিস্ট