ফারুক শাহ:
০৫ অক্টোবর : বিশ্ব শিক্ষক দিবস
বিশ্ব শিক্ষক দিবস। দিনটি ওয়ার্ল্ড টিচার্স ডে, ইন্টারন্যাশনাল টিচার্স ডে বা আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস নামেও পরিচিত। ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে থাকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। এ দিবসটি শিক্ষকদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য পালন করা হয়। ইউনেস্কোর মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পালন করা হয়। বিশ্বের ১০০টি দেশে এ দিবস পালিত হয়ে থাকে। ভিন্ন ভিন্ন দিনে দিবসটি উদযাপিত হলেও ৫ অক্টোবর ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত। অনেক দেশে দিবসটি ভিন্ন ভিন্ন তারিখে পালিত হয়। এ দিবসটি পালনে অ্যাডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল (Education International-EI) ও তার সহযোগী ৪০১টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রাখে। দিবসটি উপলক্ষ্যে ইআই প্রতি বছর একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করে থাকে, যা জনসচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে শিক্ষকতা পেশার অবদানকেও স্মরণ করিয়ে দেয়।
১২ অক্টোবর : বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস
বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস। গ্রিক শব্দ ‘আর্থো’-এর মানে হলো অস্থিসন্ধি বা হাড়ের জোড়া এবং ‘আইটিস’ শব্দের মানে প্রদাহ। খুব সাধারণভাবে বলা যায়, আর্থ্রাইটিস হলো অস্থিসন্ধি বা হাড়ের জোড়ার প্রদাহ, যা সন্ধিবাত নামেও পরিচিত। ১৯৯৬ সাল থেকে ‘ওয়ার্ল্ড আরথ্রাইটিস ডে’ দিবসটি ‘আর্থ্রাইটিস অ্যান্ড রিউমেটিজম ইন্টারন্যাশনাল’-এর তত্ত্বাবধানে উদযাপিত হয়ে আসছে। বহু প্রাচীনকাল থেকে এ রোগটির অস্তিত্ব থাকলেও ৪৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে এটি পুস্তক বা নথিভুক্ত হওয়া শুরু করে এবং সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ১৮৫৯ সালের দিকে রোগটিকে তার বর্তমান ‘আর্থ্রাইটিস’ নামকরণ করা হয়। প্রতি বছর এ দিনটি বাত ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস বিষয়ে সচেতনতার জন্য পালিত হয়।
প্রকৃতপক্ষে, ‘আর্থ্রাইটিস’ একক রোগ নয়; এটি অনেকগুলো রোগের প্রধান লক্ষণ। আর্থ্রাইটিস বহু ধরনের হতে পারে। ২০১৩ ও ২০১৬ সালে আলাদাভাবে দুটি গবেষণা চালানো হয় যেখানে আর্থ্রাইটিসের ১০০ রকমের প্রকার উল্লেখ করা হয়। ‘আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন, আটল্যান্টা’-এর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে মানুষের অক্ষমতার প্রথম এবং প্রধান কারণ হলো আর্থ্রাইটিস। শুধু আমেরিকাতে ৭ মিলিয়নের বেশি লোক আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত। আমাদের দেশে প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো ধরনের বাত ও জটিল বাতরোগে আক্রান্ত।
১৭ অক্টোবর : আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য দূরীকরণ দিবস
জাতিসংঘ ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য দূরীকরণ দিবস’। জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রতি বছর সারাবিশ্বে এই দিনে দিবসটি পালিত হয়। বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও মানুষের অসমতা দূর করাই দিবসটির মূল লক্ষ্য। ১৯৯২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে ১৯৯৩ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন হয়ে আসছে। আমাদের দেশেও গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয় দিবসটি। জাতিসংঘ মনে করে দারিদ্র্য মানবাধিকারের জন্য বাধা। দারিদ্র্য বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে পরিবেশ সংরক্ষণে। তাই দারিদ্র্য দূরীকরণে নির্ধারণ করা প্রয়োজন কম মেয়াদি কৌশল। উন্নয়ন, টেকসই সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও দারিদ্র্য দূরীকরণের বিষয়গুলোকে সমাধান করতে হবে সমন্বিতভাবে। কৌশলের লক্ষ্য হবে টেকসই জীবনযাত্রার জন্য সবাইকে সহায়তা প্রদান, আয় বৃদ্ধি, সম্পদের স্থানীয় নিয়ন্ত্রণ ও এনজিও এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করে মানবসম্পদ উন্নয়নের নীতি গ্রহণ।
২৯ অক্টোবর (শেষ শনিবার) : কমিউনিটি পুলিশিং ডে
পুলিশের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য কমিউনিটি পুলিশিং বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় কমিউনিটি পুলিশিং-এর কার্যক্রমকে আরও বেগবান ও গতিশীল করার জন্য প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ শনিবার ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশ পুলিশের সকল ইউনিট একই দিনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালন করে থাকে। বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ যেমনÑ ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, জঙ্গি, মাদক, এসিড নিক্ষেপ, শিশু অপহরণ, নারী ও শিশু পাচার, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং এবং সন্ত্রাস দমন ও প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়ে থাকে। এছাড়া কমিউনিটি পুলিশিং-এর কার্যক্রমকে আরও তরান্বিত ও উৎসাহ-উদ্দীপনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিটি বিভাগের সেরা কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার ও সদস্যদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।