১৯৭৩ সালের ২৩ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সেই পদক গ্রহণ অনুষ্ঠানে তার ভাষণে বলেন, “আমি ১৯৫২ সালে পিকিং-এ প্রথম এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় শান্তি সম্মেলন এবং ১৯৫৬ সালে স্টকহোমে বিশ্বশান্তি সম্মেলনে যোগদান করতে পারায় গর্বিত বোধ করছি। এখানে উল্লেখ করতে চাই, বিশ্বশান্তি আমার জীবন দর্শনের অন্যতম মূলনীতি।
বিশ্বশান্তি সম্মেলনের সভাপতি,
শুরুতেই আমি আপনাদের ‘শান্তি এবং সম্প্রীতির বাংলাদেশে’ স্বাগত জানাই। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী এবং আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘বিশ্বশান্তি সম্মেলন-২০২১’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং ২ লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনকে, যাদের আত্মত্যাগে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সালাম জানাই।
অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে স্মরণ করছি ’৭৫-এর ১৫ই আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটে নিহত আমার বাবা, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, আমার তিন ভাই- মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও ১০ বছরের ভাই শেখ রাসেল, দুই ভাতৃবধূ, একমাত্র চাচা মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের-সহ মোট ১৮ জন। আমি সকলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
সম্মানীত উপস্থিতি,
জাতির পিতার শান্তির দর্শন ছিল অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী এবং স্থায়ী শান্তি চেতনার প্রশস্ত মহাসড়ক। তিনি প্রমাণ করেছেন সকল বঞ্চনা-বৈষম্য-শোষণের শৃঙ্খল তথা পরাধীনতা থেকে মুক্তি এবং ক্ষুধা-দারিদ্র্যের অবসানপূর্বক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমেই তা নির্মাণ করা সম্ভব। তাছাড়াও তিনি বিশ্বশান্তি অটুট রাখতে যুদ্ধ-বিগ্রহের পরিসমাপ্তি এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে জোট-নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পূর্ব বাংলার জনগণের ওপর উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেয়া হলে তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিব এর প্রতিবাদ করেন এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগঠিত করতে গিয়ে বারবার কারাবরণ করেন।
দীর্ঘ কারাবাসের পর তিনি ১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান। একই বছর তিনি বেইজিং-এ অনুষ্ঠিত এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় শান্তি সম্মেলনে যোগ দেন এবং প্রথম বাঙালি হিসেবে বিদেশের মাটিতে বাংলায় বক্তৃতা করেন। তার রচিত ‘আমার দেখা নয়াচীন’ গ্রন্থের প্রথম পাতায় তিনি কমিউনিস্টদের শান্তি সম্মেলনে যোগদানের ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, “দুনিয়ায় আজ যারাই শান্তি চায় তাদের শান্তি সম্মেলনে আমরা যোগদান করতে রাজি। রাশিয়া হউক, আমেরিকা হউক, ব্রিটেন হউক, চীন হউক যে-ই শান্তির জন্য সংগ্রাম করবে তাদের সাথে আমরা সহস্র কণ্ঠে আওয়াজ তুলতে রাজি আছি- আমরা শান্তি চাই।”
দীর্ঘ সাড়ে ২৪ বছর পূর্ব বাংলার জনগণের ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়Ñ পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে ৩০ লাখ বীর শহিদকে জীবন দিতে হয়েছে এবং দু-লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম বিসর্জন দিতে হয়েছে। জাতির পিতা সদ্য স্বাধীন দেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি এদেশের মানুষকে স্বাবলম্বী করার সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেন। দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে প্রমাণ করেন বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই পরিবর্তন করতে পারে।
দুর্ভাগ্য, স্বাধীনতার পর তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। ’৭৫-এর ১৫ই আগস্টের খুনিরা জাতির পিতাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা ইনডেমনিটি দিয়ে এদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করেছিল।
স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি মাত্র ৯ মাসেই একটি সংবিধান প্রণয়ন করেন। সেই সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদে ‘আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন’-এর ক্ষেত্রে বন্ধুত্বকে রেখেছেন আমাদের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদকে পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সেই সঙ্গে শক্তি প্রয়োগ পরিহার, সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ, নিজ নিজ আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক ব্যবস্থা নির্ধারণ এবং সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ বা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সংগত সংগ্রামকে সমর্থন দিয়েছেন।
জাতির পিতা দেশের নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষ অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্বশান্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে এক ঘোষণার মাধ্যমে জুলিও কুরি পদকের জন্য মনোনীত হন। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সেই পদক গ্রহণ অনুষ্ঠানে তার ভাষণে বলেন, “আমি ১৯৫২ সালে পিকিং-এ প্রথম এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় শান্তি সম্মেলন এবং ১৯৫৬ সালে স্টকহোমে বিশ্বশান্তি সম্মেলনে যোগদান করতে পারায় গর্বিত বোধ করছি। এখানে উল্লেখ করতে চাই, বিশ্বশান্তি আমার জীবন দর্শনের অন্যতম মূলনীতি। আমি সব সময় পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে নিপীড়িত, শোষিত, শান্তিকামী ও মুক্তিকামী মানুষের পাশে ছিলাম। আমরা বিশ্বের সর্বত্রই শান্তি স্থাপন করতে চাই। আমরা বিশ্বশান্তিকে একটি মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে চাই।”
তিনি সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। ১৯৭৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে বলেছিলেন, “সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে জনগণের কোন কল্যাণ বা কোন সমস্যার সমাধান হয় না। এ পন্থা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বহু আগেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।… বাংলাদেশের মাটিতে সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান বাংলাদেশে যারা বসবাস করেন, তারা সকলেই এ দেশের নাগরিক। প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা সম-অধিকার ভোগ করবেন।”
জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানা নির্ধারণ এবং এর সম্পদের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য ‘দি টেরিটোরিয়ল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ৫ই মে জ্যামাইকার কিংস্টোনে কমনওয়েলথ্ শীর্ষ সম্মেলনে প্রদত্ত ভাষণে বলেন, “আমরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে নিরপেক্ষকরণের ধারণা এবং ভারত মহাসাগরকে শান্তির অঞ্চল হিসেবে ঘোষণাকে সমর্থন করে যাচ্ছি। এই অঞ্চলে সামরিক ঘাঁটি গড়ে তোলা এবং ক্ষমতা প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করার মত দুঃখজনক প্রবণতার বদলে সমুদ্র তীরবর্তী রাষ্ট্রগুলোকে শান্তি প্রতিষ্ঠা জোরদার করতে আরও সমন্বিত ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।”
প্রিয় সুধী,
দীর্ঘ ২১ বছরের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করি। একই বছর ১২ই নভেম্বর দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিচারহীনতার সংস্কৃতি নিরসন করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করি। জাতির পিতার হত্যার বিচার শুরু করি। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি উপজাতিদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটিয়ে শান্তি-চুক্তি স্বাক্ষর করি। ১৯৯৭ সালে আমরাই প্রথম জাতিসংঘে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিকাশে কর্মসূচি গ্রহণের লক্ষ্যে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করি, যা ১৯৯৯ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর গৃহীত হয়। সে অনুযায়ী জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ‘শান্তির সংস্কৃতির আন্তর্জাতিক বছর’ এবং ২০০১-২০১০-কে ‘শান্তির সংস্কৃতি ও অহিংস দশক’ হিসেবে ঘোষণা করে।
আমরা ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়লাভের পর জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করি। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে মীমাংসা করি। জাতিসংঘে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি। আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য-সহনশীলতা নীতি গ্রহণ করেছি। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি।
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। আমরা ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছি। আমরা বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি ও কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছি। দেশের অর্থনীতিকে শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছি। করোনা মহামারির প্রতিঘাত নিরসনে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছি। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি।
আমাদের অর্থনীতির আকার এখন ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলার। রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এসডিজি-২০৩০ এর সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা ২০ বছর মেয়াদি দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছি। আমরা ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ বাস্তবায়ন করছি। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী প্রজন্মের জন্য জাতির পিতার স্বপ্নের আত্মমর্যাদাশীল, উন্নত এবং সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সম্মানীত অতিথিবৃন্দ,
স্বাধীনতার জন্য আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছি এবং এর মধ্য দিয়ে শান্তির মূল্য এবং সমগ্র মানব জাতির গভীরতম আকাক্সক্ষাসমূহ অনুধাবন করেছি। বরাবরের মতো ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায্য দাবির পক্ষে আমাদের অবিচল সমর্থন রয়েছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা ১১ লাখের অধিক মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সাময়িক আশ্রয় দিয়েছি। ফলে এই অঞ্চলে একটি বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে। রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনের জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি।
গত দু-বছর ধরে করোনাভাইরাস মহামারি পুরো বিশ্বব্যবস্থাকে এক নতুন সংকটের মুখোমুখি করেছে। এই সংকট প্রমাণ করেছে আমরা কেউই আলাদা নই। শান্তিপূর্ণভাবে এই পৃথিবীতে বসবাস করতে হলে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একটি জবাবদিহিতামূলক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তির আদর্শকে পুরোপুরি ধারণ করে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সমঝোতার ভিত্তিতে সকলের সঙ্গে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ সদা প্রস্তুত রয়েছে। বিশ্বের এই চরম সংকটময় সময়ে আমি অস্ত্র প্রতিযোগিতায় সম্পদ ব্যয় না করে তা সার্বজনীন টেকসই উন্নয়ন অর্জনে ব্যবহার করার আহ্বান জানাই। আসুন, আমরা সার্বজনীন শান্তির জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে কর্মযজ্ঞে নেমে পড়ি।
আমি সকলকে আবারও ধন্যবাদ জানিয়ে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের সমাপনী ঘোষণা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
সারাবিশ্বে শান্তি বিরাজ করুক।
বিশ্বশান্তি সম্মেলন-২০২১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ
গণভবন এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকা
রবিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪২৮, ০৫ ডিসেম্বর ২০২১